ক্যাটাগরি

৪ জেলায় ২৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

এর মধ্যে হবিগঞ্জে নয়টি, মাগুরায় সাতটি, টাঙ্গাইলে চারটি ও চুয়াডাঙ্গায় তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “যেসব ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স নেই, তিন দিনের মধ্যে সেগুলো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“লাইসেন্স না থাকলে তো কেউ কাজ করতে পারবে না। তারা যেন দ্রুত লাইসেন্স করে নেয়, সেজন্যই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

এর পরই অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রশাসন।

হবিগঞ্জ:

মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলায় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন মো. নূরুল হক।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে পৌর শহরের সেবা ডায়াগনস্টিক, এ্যাপেলো ডায়াগনস্টিক, হক ডায়াগনস্টিক, প্রাইম ডায়াগনস্টিক ও তিতাস শিশু জেনারেল হাসপাতাল সাময়িকভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া চুনারুঘাটের পিপলস হাসপাতাল, এন কে হাসপাতাল, সূর্যের আলো ক্লিনিক ও গ্রিন লাইন ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন, মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন

মাগুরা:

জেলা সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে সারাদেশের মতো মাগুরায় অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরি করে অভিযান চালানো হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বা বৈধ কাগজপত্র নেই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার অবৈধ ও অনিবন্ধিত সাতটি প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সেগুলো হচ্ছে- শহরের ভায়না এলাকার রোকেয়া প্রাইভেট হাসপাতাল, একতা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম, নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতাল, রিফাত ফার্মেসি, শাহানা মেডিকেল সাভির্সেস, অরো ডেন্টাল কেয়ার, সুখী নীলগঞ্জ প্রজেক্ট।

চুয়াডাঙ্গা:

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তাদের সিলাগালা ও জরিমানা করা হয়।

আওলিয়ার বলেন, জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত ২৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেন্ট্রাল মেডিকেল সেন্টার, সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চুয়াডাঙ্গা আলট্রাসনোগ্রাফি সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া হালনাগাদ করা কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ইসলামি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও তিসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সতর্ক করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, অভিযান শুরু হওয়ার পর কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন তাদের প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে কেটে পড়েন। ওইসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল:

শনিবার সকাল ১০ টাকা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চারটি অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা ও তিনটি ক্লিনিকের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন জানান।

সিলগালাকরা ক্লিনিকগুলো হচ্ছে- স্বদেশ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার, পদ্মা ক্লিনিক, আমানত ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটাল ও ডিজিল্যাব।

এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেবা দেওয়ার অভিযোগে দি সিটি ক্লিনিককে ২০ হাজার টাকা, কমফোর্ড হাসাপাতালকে ৩০ হাজার টাকা এবং ডিজিল্যাব ক্লিনিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান রানুয়ারা।

এ সময় সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনার পরিচালক শরিফুল ইসলাম ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।