স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের বুলেটিনে ৪০ জন রোগী শনাক্তের খবর দেওয়া হয়। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ২৮।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৭ জন। নতুন কারও মৃত্যু না হওয়ায় মহামারীতে মৃতের সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩০ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২১৫ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৯ লাখ ২ হাজার ৪২২ জন।
নতুন শনাক্ত ৪০ রোগীর মধ্যে ৩৪ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। এছাড়া সিলেটে দুজন, ময়মনসিংহে দুজন, টাঙ্গাইলে একজন এবং কক্সবাজারে একজন রোগী ধরা পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মোট ৫ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ৮৬ লাখ।