আটলান্টিক উপকূলের
কাছাকাছি দেশটির পার্নামবুকো ও আলাগোসের প্রধান দুই শহরে শুক্র ও শনিবার এসব মৃত্যুর
ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দক্ষিণ আমেরিকায়
গত পাঁচ মাসের মধ্যে চতুর্থবারের মত বড় ধরনের বন্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে মানুষকে।
টুইটারে পার্নামবুকো
সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার বিকাল পর্যন্ত সেখানে বৃষ্টির কারণে ভূমিধসে ৩৩
জনের মৃত্যু হয়। ওই পরিস্থিতিতে পাহাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে
নেওয়া হয়। আরও ৭৬৫ জন বাসিন্দা সাময়িকভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
ব্রাজিলের জরুরি
সেবা বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিবেশী আলাগোস রাজ্য কর্তৃপক্ষ দুইজনের মৃত্যু রেকর্ড করেছে।
গত ডিসেম্বরের
শেষ এবং জানুয়ারির শুরুর দিকে ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া রাজ্যে বৃষ্টিপাতের
কারণে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়; বাস্তুচ্যুত হয় ১০ হাজার মানুষ।
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয়
রাজ্য সাও পাওলোতে জানুয়ারি মাসে বন্যায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। পরের মাসে রিও
দে জেনেইরোর পাহাড়ে প্রবল বর্ষণে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে,
ব্রাজিলে ২০২১ সালের বেশিরভাগ সময় খরায় কাটলেও শেষ মাসগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে প্রচুর
বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
প্রায়ই এরকম
বন্যা জলবায়ু পরিবর্তনে ব্রাজিলের সম্ভাব্য ভূমিকা বিতর্ককে উসকে দিচ্ছে; দেশটির বিশৃঙ্খল
নগর পরিকল্পনাও সামনে আসছে।
শুক্র ও শনিবার
পার্নামবুকো রাজ্যের রাজধানী শহর রেসিফেতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশী অনেক এলাকায়
ভূমিধস হতে পারে এমন ঝুঁকিপূর্ণ বহু জায়গা রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম
জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো শনিবার পার্নামবুকোতে পাঠানোর জন্য একটি ফেডারেল
টাস্ক ফোর্স গঠন করছিলেন।
বলসোনারো প্রধান
প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা প্রাণহানির ঘটনা টুইটারে শোক জানিয়েছেন।
আগামী অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি লড়বেন।