রোববার ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে
ঝিনাইদহ পৌরসভা ও সদরের দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন নির্বাচন
কমিশনার।
আহসান হাবিব বলেন, “নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতার
দায় শুধু নির্বাচন কমিশনের একার নয়। সবাইকে এর দায়- দায়িত্ব নিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু
ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম নিয়ামক। আর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন
দেশ পরিচালনার জন্য যোগ্য কাণ্ডারি নির্ধারণ করে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমের সভাপতিত্বে
সভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচন একটি বিরাট
কর্মযজ্ঞ; যা ইসি সচিবালয়ের সীমিত নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে এককভাবে করা সম্ভব নয়।
এখানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, র্যাব, আনসার, সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবার সমন্বয়ে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের জন্য একটি সুন্দর, সুষ্ঠু,
স্বার্থক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব।
“কিন্তু নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতা নির্বাচন
কমিশন এককভাবে বহন করবে কেন? এই দায়-দায়িত্ব সবাইকেই গ্রহণ করতে হবে।”
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্বাভাবিক রাখা ও মনিটরিং টিমের তৎপরতার করণীয় বিষয়ে ভোটার, প্রার্থী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ
সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন তিনি।
নির্বাচন
আরও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে ম্যানুয়াল ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহার ‘নির্বাচনে
মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে’ বলে উল্লেখ করেন আহসান হাবিব খান।
মতবিনিময় সভায় ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব
নুরুজ্জামান তালুকদার, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন
কর্মকর্তা ইউনুচ আলী, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা এস এম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ছয়টি পৌরসভা,
একটি উপজেলা ও ১৩৫ ইউপিতে ভোট রয়েছে।
এ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা ও আচরণবিধি
প্রতিপালনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী
এলাকায় সফর করছেন।
আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মত খেলা’ দেখতে চান সিইসি