বিবিসি
জানিয়েছে, শনিবার পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে এবারের উৎসবের
সমাপনী আয়োজনে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পাম দ’র উঠেছে সুইডিশ নির্মাতা রুবেন ওস্টলান্ডের
হাতে।
তার
সিনেমা ‘ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস’ এর চরিত্ররা কেউ ফ্যাশন তারকা, কেউবা টাকার কুমির।
কিন্তু অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা তাদের খ্যতি আর অর্থের জেল্লা ধুয়ে দিয়ে আদি মনুষ্য চেহারা
প্রকাশ্যে আনে।
এ
নিয়ে দ্বিতীয়বার স্বর্ণ পাম জিতলেন সুইডিশ চলচ্চিত্রকার রুবেন ওস্টলান্ড। আর্ট মিউজিয়ামের
এক কিউরেটরের গল্প নিয়ে বানানো তার সিনেমা ‘দ্য স্কয়ার’ ২০১৭ সালে কানে সেরার পুরস্কার
জিতেছিল।
কানের
এবারের আসরে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাতা পার্ক চ্যান-উক।
২০০৩ সালে ক্রাইম থ্রিলার ‘ওল্ডবয়’ নির্মাণ করে আলোচনায় আসা উক এবার কানের সম্মাননা
পেয়েছেন ‘ডিসিশন টু লিভ’ সিনেমার জন্য।
দক্ষিণ
কোরিয়ার জন্য শনিবার একটি শুভ দিন হয়েই এসেছিল কানে। ব্রোকার সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার
পুরস্কার পেয়েছেন কোরিয়ার সং কাং হো। তার অভিনীত সিনেমা প্যারাসাইট ২০১৯ সালের অস্কার
জিতেছিল।
‘কিং
অব ক্রিনজ’ সিনেমার নির্মাতা
ওস্টলান্ড ‘ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস’ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এমন কিছু করতে চেয়েছিলেন,
যা নিয়ে লোকে কথা বলবে।
“যখন
আমরা এই সিনেমার কাজ শুরু করি, আমাদের একটি লক্ষ্য ছিল… সত্যি, সত্যিকার অর্থেই দর্শকদের
জন্য রোমাঞ্চকর এবং মানুষকে ভাবাবে এমন বিষয়গুলো নিয়ে সিনেমা বানাতে চেয়েছিলাম।
“আমরা
মানুষকে বিনোদন দিতে চেয়েছি, চেয়েছি তারা নিজেরা নিজেকে প্রশ্ন করুক। চেয়েছি পর্দা
উঠলে তারা সিনেমার কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলুক।”
ওস্টলান্ডের
সিনেমা সত্যিকার অর্থেই দর্শকের মনোযোগ পেয়েছে। সিনেমার প্রিমিয়ারে দর্শকরা কখনও হাসতে
হাসতে কেঁদে ফেলেছেন, কখনও তাদের ওপর ভর করেছে বিষাদ।
‘ট্রায়াঙ্গেল
অব স্যাডনেস’ এর দৃশ্য শুরু হয়েছে ব্রিটিশ অভিনেতা হ্যারিস ডিকিনসন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার
চার্লবি ডিনকে নিয়ে, যারা একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে ভ্রমণ করছেন।
কিন্তু
হঠাৎ তারা নিজেদের আবিষ্কার করেন আটকা পড়া অবস্থায়। সামাজিক অবস্থান ভুলে বেঁচে থাকার
তাগিদই তাদের মধ্যে বড় হয়ে ওঠে।
বিনোদন
ম্যাগাজিন ‘ভ্যারাইটি’ লিখেছে, এ সিনেমা আপনাকে হাসাবে; আর ওস্টলান্ড আপনাকে ভাবাবেন।
কোন বিভাগে কে বিজয়ী
স্বর্ণপাম: ট্রায়াঙ্গেল অব
স্যাডনেস (পরিচালক রুবেন
ওস্টলান্ড)
গ্র্যাঁ প্রি:
যৌথভাবে ক্লোজ (পরিচালক: লুকাস
ডোন্ট) এবং স্টারস
অ্যাট নুন (পরিচালক: ক্লেয়ার ডেনি)
সেরা
পরিচালক: পার্ক চ্যান-উক (সিনেমা:
ডিসিশন টু লিভ)
সেরা
চিত্রনাট্যকার:
তারিক সালেহ (সিনেমা:
বয় ফ্রম হ্যাভেন)
জুরি
পুরস্কার: যৌথভাবে ইও
(পরিচালক: ইয়াজি স্কলিমোস্কি) এবং
দ্য এইট মাউন্টেন ( পরিচালক: শার্লট
ফান্দারমিয়ার্স
ও ফেলিক্স ফন
খ্রোনিনেন)
কান
উৎসবের
৭৫ বছর পূর্তির পুরস্কার: জ্যঁ-পিয়েরে ও
লুক দারদেন (সিনেমা:
টরি অ্যান্ড লকিটা)
সেরা
অভিনেত্রী: জার আমির
ইব্রাহিমি (সিনেমা: হলি
স্পাইডার)
সেরা
অভিনেতা: সং কাং
হো (সিনেমা: ব্রোকার, দক্ষিণ
কোরিয়া)
সেরা
স্বল্পদৈর্ঘ্য
ছবি: দ্য ওয়াটার
মারমার্স ( পরিচালক: জিয়ানিং চেন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি
(বিশেষ সম্মাননা): মেলানকলি অব
মাই মাদারস লুলাবিস (অবিনাশ
বিক্রম শাহ)
ক্যামেরা দ’র: ওয়ার
পনি (পরিচালক: রাইলি
কিয়াও ও জিনা
গামেল)
ক্যামেরা দ’র (বিশেষ
সম্মান): প্ল্যান সেভেনটি ফাইভ
(পরিচালক হায়াকাওয়া চিয়ে)
আঁ সার্তে রিগা
সেরা
চলচ্চিত্র: দ্য ওয়র্স্ট ওয়ানস
(পরিচালক: লিসে আকোকা
ও রোমানে গিউরে)
জুরি
প্রাইজ: জয়ল্যান্ড (পরিচালক: সায়েম
সাদিক)
সেরা
পরিচালক: আলেকসান্দ্রু বেল্ক
(সিনেমা: মেট্রোনম)
সেরা
অভিনয়: ভিকি ক্রাইপস (সিনেমা:
করসেজ) এবং অ্যাডাম বেসা
(সিনেমা: হারকা)
সেরা
চিত্রনাট্য: মেডিটেরানিয়ান ফিভার
(পরিচালক: মাহা হাজ)