অফিস সফটওয়্যারের বাজারের তথ্য সংগ্রহের
জন্য বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ওয়ানপালসকে নিয়োগ দিয়েছিল প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার
প্রো। আর ওই জরিপ থেকেই উঠে এসেছে বাজারে মাইক্রোসফটের আধিপত্যের তথ্য।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাঁচশ কর্মীর অংশগ্রহনে
জরিপ চালিয়েছে ওয়ানপালস। দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৮.২০ শতাংশ
মাইক্রোসফটের প্রোডাক্টিভিটি স্যুট ‘মাইক্রোসফট ৩৬৫’ ব্যবহার করে। এর বিপরীতে ‘গুগল
ওয়ার্কস্পেস’ ব্যবহার করে মাত্র ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
‘জোহো ওয়ার্কপ্লেস’, ‘পোলারিস অফিস’,
এবং ‘লিবরাঅফিস’-এর মতো বিকল্প প্রোডাক্টিভিটি স্যুটগুলোর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের
সংখ্যা তিন শতাংশেরও কম।
গুগল ডকস, গুগল শিটস এবং গুগল স্লাইডসের
মতো অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার বাড়লেও অফিস সফটওয়্যারের বাজারে দুর্বল হয়নি
মাইক্রোসফট ৩৬৫-এর অবস্থান।
টেকরেডার প্রো বলছে, বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের
কম্পিউটার মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর হওয়ায় এবং মাইক্রোসফটের অ্যাপস
ও অন্যান্য সেবার সঙ্গে ওএসটির নিবিড় সমন্বয় থাকায় বাজারে এতো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে
পেরেছে মাইক্রোসফট।
তবে, ক্লাউড প্রযুক্তির মাধ্যমে এক ফাইলে
একই সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির কাজের সুযোগ তৈরি করে মাইক্রোসফটে বড় ধাক্কা দিয়েছে গুগল।
মহামারীর লকডাউন চলাকালীন ক্লাউডে এই বাড়তি সুবিধার কারণে গুগলের প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারও
বেড়েছে।
২০২০ সালেই ‘জি স্যুট’- নাম পাল্টে ‘ওয়ার্কস্পেস’
প্রতিষ্ঠা করেছে গুগল। একে সফটওয়্যার খাতে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত হিসেবে
নিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে দূরত্ব কমাতে
ব্যবহারকারীদের ‘সমন্বিত অভিজ্ঞতা’ দেওয়ার কথা বলেছিল গুগল।
তারপর থেকে গুগল নিজস্ব সেবায় কয়েকশ আপডেট
এনেছে। মহামারীর প্রকোপ কমে আসার পর ওয়ার্কস্পেসে আরও খুঁটিনাটি পরিবর্তন এনে গুগল
সেই লক্ষমাত্রা অর্জনের জোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে সাইটটি।
তবে, সে চেষ্টায় গুগল এখনও বেশিদূর এগোতে
পারেনি– ওয়ানপালসের জরিপ থেকে এমন ইঙ্গিত মিলছে বলে উঠে এসেছে টেকরেডারের প্রতিবেদনে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম এবং এতে
বিশ্ববাজারের তথ্য না থাকলেও, দুই প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে জরিপের ফলাফল
প্রতিফলিত হচ্ছে।
২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে ক্লাউড সেবা
থেকে পাঁচশ কোটি ডলার কামাই করেছে গুগল, ওয়ার্কস্পেসের আয়ও অন্তুর্ভূক্ত আছে এই হিসাবে।
বিপরীতে মাইক্রোসফটের প্রোডাক্টিভিটি সেবা থেকে আয় ছিল গুগলের তিন গুণ– এক হাজার পাঁচশ
কোটি ডলার।