রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ১৩১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।
এই বৃদ্ধি গত দুই মাস ২০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি বেড়েছিল চলতি বছরের ৯ মার্চ। সেদিন সূচক বেড়েছিল ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
শেয়ার বিক্রির হিড়িকে গত ৯ মে থেকে ২২ মে আট লেনদেন দিবসে টানা সূচক পতন দেখেছে ডিএসই। সেই আট দিনে ডিএসই সূচক ৫৫৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে যায়।
এরপর ২৩ মে ডিএসই সূচক ১১৯ পয়েন্ট বাড়লেও পরের দুই দিন সূচক কমে। এ প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার থেকে শেয়ার দর কমার সর্বোচ্চ সীমা আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের ২ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হয়। তবে শেয়ার দর বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ৯ মার্চ পুঁজিবাজারে পতন থামাতে নিম্নমুখী সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ করা হয়েছিল। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে এরপর বাজার কিছুটা ভালো হলে তা ৫ শতাংশ করা হয়। এখন আবার তা ২ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বাজারে এদিন ৮৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যেখানে আগের দিন
এই পরিমাণ ছিল ৫৩৯ কোটি ১৩ লাখ।
ডিএসইতে মোট ৩৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়েছে, এর মধ্যে ৩৪২টির দর বেড়েছে, ২৫টির কমেছে এবং ১০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২৬ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট হয়েছে।
আর ডিএস৩০ সূচক ৩৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩৪৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট।
রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২ শতাংশ।
এ বাজারে ২৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩০টির দর বেড়েছে, ৩৪টির কমেছে এবং ১৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়ে প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৬৭ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট।
রোববার এ বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বেড়ে ২১ কোটি ৭২ লাখ টাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার।