রোববার সরকারের সেতু বিভাগ থেকে নামকরণের এই প্রজ্ঞাপন হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
বাস্তবায়নাধীন ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ
প্রকল্প’ এর আওতায় মুন্সীগঞ্জ
জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্ত সংযোগকারী পদ্মা নদীর উপর নির্মিত সেতুটি
সরকার ‘পদ্মা সেতু’ নামে নামকরণ করিলেন।”
৬ কিলোমিটারে বেশি দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। আগামী ২৫ জুন তা
উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষিণ জনপদের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের এই সেতুর নাম
‘শেখ হাসিনা সেতু’ করার দাবি ছিল আওয়ামী
লীগের নেতা-কর্মীদের। নানা অঙ্গন থেকে তাতে সমর্থনও আসে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা তাতে সায় দেননি।
পদ্মা নদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার
দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা।
এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসে প্রথম স্প্যান।
মাঝে ২২টি খুঁটির নিচে নরম মাটি পাওয়া গেলে নকশা সংশোধনের প্রয়োজন হয়। তাতে বাড়তি সময়
লেগে যায় প্রায় এক বছর।
করোনাভাইরাস মহামারী আর বন্যার মধ্যেও কাজের গতি কমে যায়। সব বাধা
পেরিয়ে অক্টোবরে বসানো হয় ৩২তম স্প্যান। এরপর বাকি স্প্যানগুলো বসানো হয়ে যায় অল্প
সময়ের মধ্যেই। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু, যুক্ত হয়
পদ্মার দুই পাড়।