রোববার রাতে উজিরপুর
মডেল থানার ওসি আর্শাদ আলী একথা জানান।
তিনি জানান, বাসচালক
আরিফ খান বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়ার মানিক খানের ছেলে এবং যমুনা লাইন পরিবহন
নামের বাসটির মালিক ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মো. ফারুক আহমেদ।
ওসি আর্শাদ জানান,
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ একটি মামলাও
করেছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নয় জনের পরিচয় জানা গেছে এবং তাদের মরদেহ
স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকজনের পরিচয় না মেলায় তার লাশ বরিশাল শের-ই
বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
বরিশালে
নিয়ন্ত্রণহারা বাস গাছে লেগে চুরমার, নিহত ১০
সড়কে ঝরল ১০
প্রাণ: তদন্তে বরিশাল জেলা প্রশাসনের কমিটি
সাভারে বিকল
হয়েছিল যমুনা লাইনের বাসটি, ছুটছিল বেপরোয়া: যাত্রী
সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ: যমুনা লাইনের চালকের বিরুদ্ধে মামলা
যমুনা
লাইন পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া যাচ্ছিল। রোববার ভোর সাড়ে
৫টার দিকে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাসের
চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে
দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলে নয় জন
নিহত হন এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যান।
নিহতদের মধ্যে পরিচয়
পাওয়া নয় হলেন ঝালকাঠি সদরের নেয়ড়ী এলাকার মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আরাফাত হোসেন
হাওলাদার (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর ভেচকির কুদ্দুস আকনের ছেলে নজরুল ইসলাম আকন
(৩৫), ভেচকির রাকিব আকনের স্ত্রী তাজনেয়ারা বেগম (২০), বরগুনার বেতাগীর কাজিরবাদের মোবারক আলী বেপারীর
ছেলে হালিম মিয়া (৩১), ফরিদপুরের নগরকান্দার সুতারকান্দার প্রয়াত আওলাদ আলীর ছেলে সেন্টু
মোল্লা (৫০), বরিশালের বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠি গ্রামের প্রয়াতত আবুল কাশেম হাওলাদারের
ছেলে রমজান হাওলাদার (৩৮), বরগুনার কেওড়াবুনিয়ার আ. কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে ইমরান
হাওলাদার (২৬), পটুয়াখালীর গলাচিপার মীরেরহাওলার তাজেম আলী বেপারীর ছেলে রেজা চোকদার
(২৩) ও বরিশালের উজিরপুরের মুন্ডুপাশা গ্রামের মনোরঞ্জন শীলের ছেলে মাধব শীল (৪৫)।