রোববার কবিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের উদ্দেশে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিসে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সচিব, বিআইডব্লিউটিএ-র চেয়ারম্যান ও পূবালী-১২ লঞ্চের মালিক আলী আজগর খালাসীসহ আটজনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গত ১৮ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এই সংসার চলবে কী করে: লঞ্চের ধাক্কায় পা হারানো কবিরের স্ত্রী’
শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদের অনুলিপি সংযুক্ত করে ওই আটজনকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে এবং ভুক্তভোগীর চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ লাখ টাকা এবং তার মানসিক ও শরীরিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও ৯৫ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্যথায় এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, রাজধানীর নবাবপুরে বৈদ্যুতিক পাখার দোকানে দিনমজুরের কাজ করতেন কবির হোসেন (২৮)। ঈদুল ফিতরের এক দিন আগে ১ মে সকালে স্ত্রী,
মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে সদরঘাটে যান তিনি। ঘাটে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চ থাকলেও সেটি কানায় কানায় ভরা থাকায় স্বজনদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারেননি।
“অপেক্ষার পর পূবালী-১২ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তে শুরু করে। বেশি গতি থাকায় এটি পন্টুনে এসে জোরে ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ পন্টুনে। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। কেটে ফেলতে হয় বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। আর শাহজালাল নামে আরেক ব্যক্তির ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে ভেঙে যায়।”