রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি
মিলনাতয়নে এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেসরকারি
খাতেও সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“সৌদি টেলিকম বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ৬০০
জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ নিচ্ছে এবং আরও ১
টেরাবাইট ব্যান্ডউইডথ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
“ইতোমধ্যে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য
১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ নিচ্ছে এবং আসাম ও মেঘালয় রাজ্য বাংলাদেশ থেকে
ব্যান্ডউইডথ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে
বাংলাদেশ কোনো ব্যান্ডউইডথ সংকটে পড়বে না।”
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় জানানো হয়, দেশে ইন্টারনেট
ব্যান্ডউইথের ব্যবহার গেল মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৫০ জিবিপিএস।
দেশে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানির মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসসিসিএল অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স পাওয়া তিনটি
ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) সার্ভিসেস অপারেটর কোম্পানিও একই
কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে দেশের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ বিএসসিসিএল
এককভাবে সরবরাহ করছে।
সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম
সুন্দর সিকদার বলেন, “২০০৬ সালে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারকারী ছিল
মাত্র ১৫ লাখ, যা ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৪২ লাখে। ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফিক্সড
ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী ১ কোটি ১০ লাখ।
“…২০০৮ সালে দেশে
আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ছিল ৭.৫ জিবিপিএস, যা ২০২২ সালের মে
মাসে এসে দাড়িয়েছে ৩,৮৫০ জিবিপিএস।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক
ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান, বিটিসিএলের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন।