সাত ডাকাত ক্ষুর ও চাকু নিয়ে ভয় দেখিয়ে চালক
ও যাত্রীদের জিম্মি করে বলে যাত্রীরা জানান। হট্টগোল শুনে পুলিশ এগিয়ে গেলেও ডাকাতদের
ধরতে পারেনি।
ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবু
নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বলেন, হট্টগোল শুনে পুলিশ গিয়ে বাসযাত্রীদের কাছে ডাকাতির
ঘটনা জানতে পারে।
এসআই যাত্রীদের বরাতে বলেন, ২১ জন যাত্রী
নিয়ে বাসটি রোববার বিকালে ঢাকার গাবতলী থেকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে
আসে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কিছু যাত্রী নেমে যান। এরপর বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর যাত্রীবেশী
সাত ডাকাত সবাইকে জিম্মি করে ফেলে।
বাসযাত্রী আব্দুল্লাহ বিন ওবায়েদ নবীনগর
কাউন্টার থেকে রোববার বিকাল ৫টায় বাসে ওঠেন।
ওবায়েদ বলেন, “হঠাৎ করে ছয়-সাতজন লোক অস্ত্র
দেখিয়ে চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। তারা বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তিন লোক
আমাদের কাছে থাকা জিনিসপত্র, টাকা, স্বর্ণালংকার কেড়ে নেয়। ডাকাতদের কাছে ক্ষুর, চাকুসহ
দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ছিল।”
রাত সোয়া ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী
উপজেলার ধুসর বটতলা এলাকায় যাত্রীসহ বাস রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
বাসের আরেক যাত্রী সুবর্ণ দেবনাথ বলেন, “আমি
ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ডাকাতরা এসে বলে, ‘কাছে যা যা আছে দিয়ে দে। একপর্যায়ে আমার কানের
দুল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক জবরদস্তি করে। পরে আমি খুলে দিতে বাধ্য হই। আমার কাছে
থাকা সাত হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।”
বাসচালক মোহাম্মাদ আলীর ভাষ্য, “ভাঙ্গায়
যাত্রী নামিয়ে বাস চালাতেই পেছন থেকে ডাকাতরা এসে আমার গলা চেপে ধরে উঁচু করে ফেলে।
আমাকে ইঞ্জিন কভারে টেনে তুলে তারা বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর আমার কাছে থাকা
মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে বাসের পেছনের সিটে বসিয়ে রাখে।”
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে
পুলিশ জানিয়েছে।
এসআই আবু নাঈম বলেন, সব যাত্রীর মোবাইল ফোন
নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ
করতে গিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।