নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে শনিবার রাতে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয় বলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান।
১৭ বছর বয়সী ওই তরুণ এ বছরই নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশ বলছে, ‘অসৎ’ বন্ধুর পাল্লায় পড়ে খরচের হাত বড় হয়ে গিয়েছিল তার। বাড়ি থেকে হাত খরচের জন্য এত টাকা না পাওয়ায় সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার নেওয়া শুরু করে।
নোবেল চাকমা বলেন, “যাদের কাছ থেকে সে ধার নিয়েছে, সেই তালিকায় তার কিছু বন্ধুও আছে। এক পর্যায়ে তারা টাকা আদায়ে ছেলেটিকে চাপ দেওয়া শুরু করে। তখন সে ভাবতে শুরু করে, বাড়িতে না জানিয়ে কীভাবে টাকা পাওয়া যায়।”
পুলিশের এই অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বলেন, “আরেক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকালে ‘নিরুদ্দেশ’ হয়ে যায় ওই তরুণ। পরে বাবাকে অন্য একটি ফোন থেকে কল করে সে বলে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তির জন্য টাকা লাগবে।”
ছেলের ওই ফোন পেয়ে দেরি না করে থানায় যোগাযোগ করেন চাকরিজীবী বাবা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে ওই তরুণকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে বলে চকবাজার থানার ওসি ফেরদৌস জাহান জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ছেলেটা চকবাজার এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত। শনিবার সকালে সে তার এক বন্ধুকে নিয়ে লালচাঁদ রোডে একটি চায়ের দোকানে যায়। ওই দোকানিও তার কাছে টাকা পেত।
“অপহরণের নাটক সাজানোর জন্য ওই দোকানির কাছ থেকে ফোন নিয়েই সে তার বাবাকে কল করে টাকার কথা বলে।”
ওসি ফেরদৌস বলেন, “ছেলেটির বাবা বিষয়টি থানায় জানানোর পর আমাদের সন্দেহ হয়। আমিও তখন ওই তরুণের সাথে কথা বলি। তখন সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।”
রাতে তাকে উদ্ধারের পর ‘বয়স বিবেচনা করে এবং অপরিপক্কতার কারণে’ মুচলেকা নিয়ে তাকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ওসি।