ক্যাটাগরি

নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত

মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে রোববার সকালে নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের ‍মাথা কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় সেটি পোখারা থেকে জমসম বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার পর পাইলটের মোবাইলের ‘জিপিএস লোকেশন ট্রেকিং করে’ সেটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

তল্লাশি এবং উদ্ধারকর্মীরা এখন সশরীরে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল খুঁজে বের করেছে বলে টুইটারে জানান নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষের ছবিও পোস্ট করেন। ওই ছবিতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের লেজের দিকের অংশ দেখা যাচ্ছে। যেখানে উড়োজাহাজের নম্বর স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। একটি পাহাড়ের ধারে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

বেসরকারি এয়ার লাইন তারা এয়ারের টুইন অটার ৯এন-এইটি উড়োজাহাজে তিনজন ক্রু ছাড়াও ৪ ভারতীয়, ২ জার্মান ও ১৩ নেপালি যাত্রী ছিলেন। তাদের কেউ বেঁচে আছেন নাকি সবাই মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফ্লাইট-ট্রেকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটডেটা২৪ জানায়, ৯এন-এইটি নিবন্ধন নম্বরের ওই উড়োজাহাজ ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে প্রথম আকাশে উড়েছিল।


নেপালে পাইলটের ফোন জানান দিল বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের অবস্থান
 

নেপালে ২২ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
 

উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে পাঁচটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত আছে বলে জানান নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র।

সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টসহ বিশ্বের সবথেকে উঁচু ১৪টি পর্বতের মধ্যে আটটির অবস্থান নেপালে। যেখানে রেকর্ড পরিমাণ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। নেপালের খামখেয়ালী আবহাওয়াও ওইসব দুর্ঘটনার পেছনে অনেকাংশে দায়ী।

রোববারের এ দুর্ঘটনার পেছনেও প্রাথমিকভাবে মেঘলা আবহাওয়া ও বৃষ্টিকে দায়ী ভাবা হচ্ছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গত কয়েকদিন ধরে জমসম এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যেই বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছিল। সেখানে জমসম উপত্যকার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগে উড়োজাহাজকে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে উড়ে যেতে হয়।

এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমাণ্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। সেটিতে মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন।