রোববার নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশের জনগণ আসলে বুঝে গেছে, ঈর্ষান্বিত বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে না।”
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা নাকি শয়তানি কারবার, দেশের সম্পদ কেউ যদি পাচার করে এবং পরবর্তীতে সেটা যদি ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে তাতো ভালো উদ্যোগ। শয়তানি কারবার হবে কেন?
“বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা শুনে আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরছে কেন? কিসের এত ভয়? তবে কি আপনারা আপনাদের পাচার করা অর্থ দেশে ফিরে আসার আতঙ্কে ভুগছেন?”
‘আওয়ামী লীগ একদিনও ক্ষমতায় থাকলে বিএনপিরই ক্ষতি’- মির্জা ফখরুলে এমন বক্তব্যেরও জবাব দেন কাদের।
“যে ক্ষতির কথা বলেছেন, সে ক্ষতির অংকটা বলেননি তিনি। প্রতিদিন যে পরিমাণ সম্পদ লুট করতে পারত বিএনপি, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেই মির্জা ফখরুলের মন খারাপ।”
দেশে পদ্মাসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে; মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে, সেটা বিএনপি নেতাদের ‘ভালো লাগছে না’ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পে অপ্রয়োজনে অল্প দূরত্বে বেশি বেশি স্টেশন করার যে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব করেছেন, তারও জবাব দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
তিনি বলেন, “লুটপাট আর লুণ্ঠন করতে সিদ্ধহস্ত বিএনপি নেতৃবৃন্দ জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা না করে শুধু টাকার গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।”
সরকার জনস্বার্থ এবং ব্যয় সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই যে কোনো প্রকল্প নেয় দাবি করে কাদের বলেন, “পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কম-বেশি এক কিলোমিটার দূরত্বে মেট্রোরেলের স্টেশন রয়েছে। বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সমীক্ষা এবং পরামর্শকের পরামর্শ অনুযায়ী জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।”