তার ছেলেদের মধ্যে মঞ্জুরুল হক মামুন প্রকৌশলী, আরেক ছেলে নাজমুল হক মারুফ সাভারের জাতীয় বস্ত্র ও প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক।
ময়মনসিংহের বিশেষ আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক রামপ্রসাদ মণ্ডল সোমবার এই মামলা করেন।
রামপ্রসাদ জানান, ২০১৯ সাল থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে ওসি সরোয়ার ও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। তদন্তে তাদের দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে গড়মিল পাওয়া যায়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত তিন কোটি ৪৫ হাজার ৩৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
“গোলাম সারোয়ার দায়িত্বে থাকার সময় মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।”
তার ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে রামপ্রসাদ বলেন, ছোট ছেলে মঞ্জুরুল হক মামুন ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। ২৯ লাখ দুই হাজার ৯২৬ টাকা বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয় করার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মঞ্জুরুল হক একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
রামপ্রসাদ বলেন, মেজো ছেলে নাজমুল হক মারুফের জমি, ফ্লাট ও অন্যান্য সম্পদের হিসাবে গড়মিল পাওয়া গেছে। নাজমুল ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় বস্ত্র ও প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক। বাবা-ছেলে যোগসাজশে অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বড় ছেলে এনামুল হক মাসুম জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৭ টাকার সম্পদ অর্জন করায় তার নামে মামলা করা হয়েছে বলে জানান রামপ্রসাদ।
অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক ওসি গোলাম সরোয়ার সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি কোনো দুর্নীতি করেননি।
“আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। আদালতের মাধ্যমে সবকিছু নিষ্পত্তি হবে।”