বিশ্বের এমন সব দেশে মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হচ্ছে যেখানে সাধারণত এ রোগ দেখা যায় না। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রোববার সংস্থাটি ওই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ রোগের ভাইরাস শিশু এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাহীনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে জনস্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, গত ২৬ মে পর্যন্ত বিশ্বের ২৩ দেশে ২৫৭ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া আরও ১২০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তবে এখনও এ রোগে কারও মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হঠাৎ করেই বিভিন্ন দেশে এ রোগ শনাক্ত হওয়া থেকে বোঝা যায়, বেশ কিছু সময় ধরে এটি সংক্রমিত হয়ে আসছে এবং সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়ছে।
এ পরিস্থিতিতে নজরদারিও বেড়ে যাওয়ার কারণে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন দেশে আরও মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মাঙ্কিপক্স একটি সংক্রমক রোগ হলেও এর উপসর্গ সাধারণত মাঝারি মাত্রার হয়। আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে এ রোগের প্রকোপ দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে অন্যের দেহে এ রোগ সংক্রমিত হয়।
ফলে কোভিডের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং আইসোলেশন পদ্ধতির মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত যতজন মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে তার বেশিরভাগই যুক্তরাজ্য, স্পেন এবং পর্তুগালে।