রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেইনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে আর কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার পুনরায় বৈঠকে বসবেন ইইউর নেতারা।
দুইদিনব্যাপী ওই সম্মেলনে কীভাবে ইউক্রেইনকে সর্বোচ্চ সমর্থন দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে দ্রুত বেড়ে যাওয়া জ্বালানির দাম, খাদ্য সংকট এবং ইইউ সদস্যদের প্রতিরক্ষা নিয়ে যে উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলা করার উপায় নিয়েও আলোচনা হবে।
এর আগে রোববার এক বৈঠকে রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ইইউর কূটনীতিকরা একমত হতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, ‘‘এখনো এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোতে একমত হতে হবে।”
ইউক্রেইনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার উপর নতুন করে ছয়টি নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা করছে ইইউ। যার মধ্যে রাশিয়ার তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিও রয়েছে।
প্রস্তাবিত নতুন নিষেধাজ্ঞার পুরো প্যাকেজটি আটকে দিয়েছে হাঙ্গেরি। তাদের যুক্তি, রাশিয়ার তেলে আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তাদের পুরো অর্থনীতির জন্য তা বিশাল বড় ধাক্কা হবে। কারণ, রাশিয়ার তেলের অন্যকোনো বিকল্প তারা সহজে খুঁজে পাবে না।
বৈঠকে স্লোভাকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রও একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
রাশিয়ায় তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে আলোচনা করছেন ইইউ নেতারা। কিন্তু তাদের আলোচনায় এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। এ অচলাবস্থার অবসানে ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়া থেকে শুধুমাত্র ট্যাঙ্কারে করে ইইউতে আসা তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বিকল্প যোগানের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র রাশিয়ার ‘দ্রাজবা’ পাইপলাইন দিয়ে তেল আমদানি করতে পারবে।
বুদাপেস্ট ওই প্রস্তাবে সমর্থন দেয়। কিন্তু এজন্য দেশটি ক্রোয়েশিয়া থেকে পাইপলাইনে তেল আনার ক্ষমতা আরো বাড়াতে এবং তাদের শোধনাগারগুলিকে রাশিয়ার ইউরাল ক্রুড ব্যবহার থেকে ব্রেন্ট ক্রুডে পরিবর্তন করতে ইইউর আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। যার ফলে রোববার এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
সোমবার ও মঙ্গলবারের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।