ক্যাটাগরি

সাতক্ষীরায় গৃহবধূ খুন, স্বামী গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে

গত ১৫ মে কালীগঞ্জ থানার চরদাহ এলাকায় বাসার তালা ভেঙে রোজিনা বেগম নামে
ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এরপর রোববার রাতে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিআইডির
এলআইসি শাখা রোজিনার স্বামী মো. শফিকুল ইসলামকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, রোজিনা
ছিলেন শফিকুলের চতুর্থ স্ত্রী। যে বাসা থেকে রোজিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, ওই বাড়িতেই
ভাড়া থাকতেন তারা।

বিয়ের আগে শফিকুল কালীগঞ্জে ভ্যান চালকের কাজ করতেন। বিয়ের পর যৌতুকের
জন্য তিনি রোজিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন বলে তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শফিকুল তার আগের তিন স্ত্রীর ওপরও নির্যাতন চালিয়ে
তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় করেছেন।

গ্রেপ্তারের পর শফিকুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে বিশেষ পুলিশ সুপার
মুক্তা ধর বলেন, শফিকুল কোহিনুর খাতুন নামের এক নারীকে বিয়ে করেন ২০০৯ সালে। ওই বিয়ের
দু মাস পর তাদের বিচ্ছেদ হয়।

এর দুই বছর বাদে ২০১১ সালে শাহিদা খাতুন নামের আরেকজনকে বিয়ে করেন শফিকুল,
সেখানে বিয়ে টিকেছিল এক বছর দুই মাস। তাদের সেই সংসারে একটি মেয়ে আছে।

এরপর ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের ফয়স লেক এলাকায় ভ্যান চালকের কাজ করার সময়
শফিকুল রাশেদা বেগম নামের আরেকজকে বিয়ে করেন। সেই সংসারেও একটি মেয়ে আছে তার।

ওই সংসার রেখেই ২০২০ সালে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার রোজিনা বেগমকে
বিয়ে করেন শফিকুল। তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই।

মুক্তা ধর বলেন ” গত ১৪ মে বিকেলে রোজিনাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট
করার খবর শুনে রোজিনার বাবার বাড়ীর লোকজন কালীগঞ্জে তাদের বাড়িতে গিয়ে শফিকুলকে যৌতুকের
একলাখ টাকা দিতে রাজি হয়।

“সেদিন রাতেই এ নিয়ে শফিকুল এবং রোজিনার মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে শফিকুল
গলা টিপে রোজিনা বেগমকে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।”

রোজিনা বেগমের ছোটো ভাই মো. আবু হাসান গত ১৮মে শফিকুল ইসলামকে (৩২) আসামি
করে কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সেই মামলাতেই শফিকুলকে
গ্রেপ্তার করা হল।