মো. মোকারম।
নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে সোমবার মো. মোকারম নামের ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে চকবাজার থানার ওসি ফেরদৌস জাহান জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রোববার দুপুরে সাত বছর বয়সী শিশু আল আমিনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন মোকররম, সে সময়ে সঙ্গে তার স্ত্রী ইয়াসমীনও ছিলেন।
“হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন কৌশলে সটকে পড়ে গা ঢাকা দেন মোকারম।”
শিশুটির মৃত্যু খবর পেয়ে রোববার রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এরপর সোমবার বহদ্দারহাট এলাকায় মোকারম ধরা পড়েন বলে জানান ওসি।
মোকাররমকে থানায় নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন, “তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার বিস্তারিত বোঝা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
হাসপাতালে নেওয়ার পর আহত শিশুর মৃত্যু, পালালেন সৎ বাবা
আল আমিন, তার মা এবং সৎ বাবার সঙ্গে নগরীর চকবাজার অলি খাঁ মসজিদ এলাকায় থাকত।
আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর গৃহকর্মীর কাজ করা ইয়াসমিন ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মোকারককে বিয়ে করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, প্রতিদিনের মত রোববারও আল আমিনকে ঘরে রেখে ইয়াসমিন কাজে গিয়েছিলেন, ওই সময় মোকাররম বাসায় ছিলেন।
ইয়াসমিন যখন কাজে, তখন মোকাররম তাকে ফোনে খবর দেন, আল আমিন বাথরুমে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ইয়াসমিন বাসায় ফিরলে দুজনে মিলে দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, “হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক আল-আমিনকে মৃত ঘোষণা করলে মোকারম কৌশলে সটকে পড়েন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে রাতে।”
পুলিশের সুরতহালে আল আমিনের বুক, মাথাসহ শরীরের নানা স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়, সে কারণে তারা ধারণা করছেন, শারীরিক নির্যাতনে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।