ক্যাটাগরি

ইভিএমের চ্যালেঞ্জ শুধু গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’: আহসান

সেটা হচ্ছে, গোপন কক্ষে যদি কেউ অবস্থান করে ভোটারকে প্রভাবিত করে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনের মধ্যে সোমবার ঢাকায় নির্বাচন
ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আহসান হাবিব এই
শঙ্কা প্রকাশের সঙ্গে গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ ঠেকানোর
হুঁশিয়ারি দেন।

সকালে নির্বাচন ভবনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রার্থীদের
প্রতিনিধিদের ইভিএম কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া দেখানো হয়। এর চার দিন আগেই এক দল প্রযুক্তি
বিশেষজ্ঞকে ইভিএম দেখিয়ে নিয়েছিল ইসি।

ইসির ইভিএমে কারসাজির সুযোগ নেই: জাফর ইকবাল

কুমিল্লার প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের ইভিএম দেখানোর পর সাংবাদিকদের
মুখোমুখি হন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান।

সেখানে একজন সাংবাদিক বলেন, এর আগে দেখা গেছে যে গোপন কক্ষে ঢুকে ইভিএমে
ব্যালট খোলার পর একজনের ভোট অন্যজন দিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

তখন আহসান হাবিব বলেন, “ইভিএমের
মধ্যে চ্যালেঞ্জ একটাই। আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না। সেটা হচ্ছে- একটা ডাকাত, সন্ত্রাসী,
ওই গোপন কক্ষে একজনকে দাঁড়িয়ে রাখা। আপনার ভোট হয়ে গেছে, চলে যান। দিজ ইজ দ্য
চ্যালেঞ্জ।”

তবে আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ও ভোট কক্ষে সিসি
ক্যামেরা স্থাপন, সাংবাদিকদের উপস্থিতি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতায় কোনো ধরনের
অনিয়ম ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করে তিনি।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, “সিটি
করপোরেশনে সেটা হবে না। সিসি ক্যামেরা রাখা হবে, সাংবাদিকদের এলাউ করব, কেন্দ্রে
যাবেন, ভেতরে ঢুকেন, ছবি দেন কারা দাঁড়িয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে ভোট বন্ধ
হয়ে যাবে। প্রিজাইডিং অফিসার বা যার সামনে হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।”

ইভিএমে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই দাবি করে তিনি বলেন, যার যার
ভোট তার তার পছন্দে দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করবে ইসি।

“মানুষের মধ্যে একটি অনাস্থা থাকতে পারে। খুব
সোজা সন্দেহ করা। কারচুপি করা এত সোজা না। আস্থা ফিরিয়ে আনতে এখন আমাদের কষ্ট
হচ্ছে। আস্থা অর্জনের প্রচেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না, আস্থা অর্জন করব।”

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলেও দাবি করেন এই নির্বাচন
কমিশনার।

“দুর্বলতা নেই, চাপ নেই। কোনো কিছু নেই। আমরা
স্বাধীন, স্বাধীনভাবে কাজ করব। কথা কম বলতে চাই, কাজে বোঝাতে চাই।”

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের ইভিএম
কাস্টমাইজেশন দেখতে ৩৪ জনের আসার কথা থাকলেও সোমবার এসেছিলেন ২১ জন।

প্রার্থীর প্রতিনিধিদের ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া এবং ফলাফল প্রিন্ট
দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে দেখানো হয় তাদের। এসময় ইভিএম প্রকল্প পরিচালক,
আইডিইএ প্রকল্প ও এনআইডি উইং এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।