টাঙ্গাইল
জেলার যে নারীর মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। ২৩ মের পর কোভিডে এই
প্রথম কারও মৃত্যুর খবর এল।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এক দিনে ৫ হাজার ৩৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা
করে ৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ৪০ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর।
নমুনা
পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। একদিন আগে যা
ছিল শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ।
নতুন
রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮১ জন। মৃত একজনকে
নিয়ে মোট মৃত্যু বেড়ে ২৯ হাজার ১৩১ জন হয়েছে।
গত
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬৯ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ২ হাজার ৫৯১ জন সেরে
উঠলেন।
নতুন শনাক্ত ৩৪ রোগীর মধ্যে ২৪ জনই
ঢাকা জেলার বাসিন্দা। এছাড়া সিলেটে ৪ জন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ২ জন করে মোট ৪ জন
এবং গাজীপুর ও খুলনায় ১ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর
মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
দেশে এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩ দশমিক
২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৩ থেকে ২৯ মে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
২১৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ২২১ জন। অর্থাৎ শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা কমেছে ৭ জন।
গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসের
টিকা নিয়েছিলেন। তার আগের সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার
২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর
তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে
মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখে ৮৭ হাজারের
বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ৯০ লাখ।