ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার-ফাইনালে মঙ্গলবার নোভাক জোকোভিচের মুখোমুখি হবেন নাদাল। আগামী শুক্রবার ৩৬ বছর পূর্ণ করতে যাওয়া নাদাল তার আগে বললেন, রোলাঁ গারোঁয় এটিই হতে পারে তার শেষ ম্যাচ।
ক্যারিয়ারে ঠিক কোথায় থামবেন, তিনিই তা ভালো জানেন। তবে এমন কথা বলার পেছনের কারণটা হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে তার ছন্দহীনতা। চতুর্থ রাউন্ডের লড়াইয়ে তরুণ ফেলিক্স ওজি-আলিয়াসসিমের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন নাদাল। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পাঁচ সেটের লড়াইয়ে শেষ হাসি অবশ্য নাদালই হাসেন।
তবে এই বয়সে শারীরিক ধকল সামলে খেলে যাওয়াটা যে বেশ কঠিন হচ্ছে, ম্যাচ শেষে নাদালের কথায় তা ভালোভাবেই ফুটে উঠল। জোকোভিচের বিপক্ষে লড়াইকেও বেশ কঠিন মানছেন তিনি।
“আশা করি, আগামীকাল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ভালো আছি। এক বছর হলো আমি জোকোভিচের বিপক্ষে খেলিনি এবং এটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। সে সবশেষ ৯ ম্যাচে জিতেছে, রোমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং সে খুবই আত্মবিশ্বাসী থাকবে।”
“আমি আমার অবস্থা বুঝতে পারছি এবং আমি তা মেনে নিয়েছি। আমি যেটা করতে যাচ্ছি, তা হলো লড়াই। আমি অভিযোগ করতে পারি না, কারণ আমি কোয়ার্টার-ফাইনালে আছি।”
গত জানুয়ারিতে অসাধারণ পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে জোকোভিচ ও রজার ফেদেরারকে ছাড়িয়ে পুরুষ এককে সর্বোচ্চ ২১ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড গড়েন নাদাল। এরপর পেরিয়েছে মাত্র চার মাস। তবে এই সময়েই তার ভাবনার জগতে যে অনেক বদল এসেছে, তা তার কথাতেই পরিষ্কার।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নিজেকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না বলে জানান নাদাল। বলেন, এবার রোলাঁ গারোঁয় প্রতিটি ম্যাচ তিনি খেলছেন নিজের শেষ ভেবে।
“আড়াই সপ্তাহ আগে যদিও আমার আশা ছিল, তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে এখানে খেলব…রোলাঁ গারোঁয় প্রতিটি ম্যাচই আমার শেষ হতে পারে।”
জোকোভিচের বিপক্ষে লড়াইয়ে নিজেকে তাই আন্ডারডগ ভাবছেন নাদাল।
“২০১৫ ছাড়া এবার, এই দুইবার সে (জোকোভিচ) পরিষ্কার ফেভারিট। অন্য সময় আমি হয়তো সামান্য এগিয়ে ছিলাম বা ফিফটি ফিফটি অবস্থানে ছিলাম।”
ফরাসি ওপেনের গত আসরে নাদালকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিলেন জোকোভিচ। পরে জিতে নেন শিরোপাও।
নাদাল-ভক্তরা অনেকেই তাই আশায় আছেন, এবার প্রতিশোধ নিবেন তাদের প্রিয় তারকা। সেখানে তার কথায় বড় একটা ধাক্কাই খেয়েছে সবাই। তেমন কিছু হলে এখানে হয়তো আর যে দেখা যাবে না রাফায়েল নাদালকে।