বেসরকারি এয়ার লাইন ‘তারা এয়ার’র ওই উড়োজাহাজটি নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে রোববার সকালে জমসম বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। নেপাল-চীন সীমান্তে মাউন্ট ধুলাগিরি অঞ্চলের মুস্তাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। মাউন্ট ধুলাগিরি বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (৮,১৬৭ মিটার)।
কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রথমে পাইলটের মোবাইলের ‘জিপিএস লোকেশন’ ধরে উড়োজাহাজের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ছিল।
সোমবার ভোরে নেপালের সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল শনাক্ত করেন এবং সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ১৪ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার
নিখোঁজ হওয়ার সময় টুইন অটার ৯এন-এইটি উড়োজাহাজটিতে তিনজন ক্রু ছাড়াও ৪ ভারতীয়, ২ জার্মান ও ১৩ নেপালি যাত্রী ছিলেন। নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘সেখানে কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।”
কর্মকর্তারা বলেছেন, নেপালের সেনারা এবং উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষ থেকে ২০ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে প্রায় ১৪,৫০০ ফুট গভীর খাদ থেকে। সেখানে আরেকটি লাশও দেখতে পাওয়া গেছে। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মুস্তাং জেলার শীর্ষ আমলা নেত্রা প্রসাদ শর্মা বলেন, আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে ঘন মেঘের রাশি জমাট বেঁধে আছে। তার মধ্যেই তল্লাশি অভিযান চলছে।
সরকার বলেছে, তারা উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কারণ জানতে ৫ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে এবং ভবিষ্যতের এমন ঘটনা ঠেকানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ফ্লাইট-ট্রেকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটডেটা২৪ জানায়, ৯এন-এইটি নিবন্ধন নম্বরের ওই উড়োজাহাজ ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে প্রথম আকাশে উড়েছিল।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমাণ্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। সেটিতে মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন।