রাজধানীর হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির এলআইসি শাখা।
গত ২১ মে নোয়াখালীর কবিরহাট থানার নবাবপুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) গুরুতর আঘাত পেয়ে মাইজদী সদরের গুডহিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গ্রেপ্তার আবদুল হাইয়ের (৪৩) কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, তারা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন। সব ভাই একই বাড়িতে আলাদা ঘরে থাকে। আবদুল হাই অন্যদের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ জমি বেশি ভোগ করায় তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
“এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে বিকাল ৫টায় বাড়ির উঠানে তার বড় ভাইয়ের সাথে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সে ঘরে থাকা লাঠি বের করে তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের মাথায় আঘাত করলে তার ভাই গুরুতর রক্তাক্ত ও আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
“ডাক-চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এলে অবস্থা বেগতিক দেখে আবদুল হাই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।”
এ ঘটনায় নিহত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাজেদা আক্তার (৪০) গত ২২ মে আব্দুল হাই ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন শিউলীর (৩৮) বিরুদ্ধে নোয়াখালীর কবিরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন।