করপোরেট কোম্পানিগুলো চালের ব্যবসায়
নেমে ধান কিনে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাদেরও বলেছেন তিনি।
চালের দর নিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা এবং নির্দেশনার পর সোমবার সচিবালয়ে বসে ভার্চুয়াল
মাধ্যমে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী।
তাকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
অবৈধ মজুদের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম
সঙ্কট সৃষ্টি করা হলে প্রয়োজনে চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হবে।
“অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিতে যা করণীয়, সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে
ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে।”
পারিবারিকভাবে চাল ব্যবসায়ী সাধন বলেন, “বিভিন্ন
কর্পোরেট হাউস বাজার থেকে ধান-চাল কেনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা কৃত্রিম কোনো সঙ্কট তৈরি করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।“
কারসাজি: তেলের মতো অভিযান হবে চালের বাজারেও
ভোক্তা যেন আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বোরো
সংগ্রহ সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার
সাথে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। যেসব মিল মালিক
চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবে, প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব
(প্রশাসন) মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও
বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসক, কৃষি
বিভাগের উপপরিচালক, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের
কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা সভায় যুক্ত ছিলেন।