ক্যাটাগরি

বরিশাল সিটির গৃহকর রশিদ ‘জালিয়াতি’, আটক ১

সোমবার দুপুরে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউর একটি দোকান থেকে তাকে আটক করা হয় বলে কর্পোরেশনের কর নির্ধারক মো. বেলায়েত হাসান বাবলু জানান।

আটক মো. মামুন হাওলাদার নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রুস্তম হাওলাদারের ছেলে।

বেলায়েত হাসান বাবলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামুন দুপুরে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউর একটি দোকানে বসে জালিয়াতির মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে একজনের গৃহকর পরিশোধের রশিদ আরেকজনের নামে করছিলেন। তখন ওই দোকানে কর শাখার এক অফিস সহায়ক গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান এবং তা কর শাখার কর্মকর্তাদের জানান।

“খবর পেয়ে কর কর্মকর্তা আজিজুর রহমান অফিসের অন্য কর্মচারীদের নিয়ে সেখানে গিয়ে মামুনকে হাতেনাতে আটক করেন।”

বেলায়েত হাসান জানান, পরে তাকে নগর ভবনের পানি শাখায় এনে মামুনের কাছ থেকে উদ্ধার করা কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, মামুন নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের গ্যাস টারবাইন এলাকার ৮৮৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের মূল মালিক ইউসুফ হাওলাদারের নাম পরিবর্তন করে তার স্থলে মো. জাকিরের নাম বসিয়েছেন। 

“জিজ্ঞাসাবাদে মামুন স্বীকার করেছে সে নগরীর রুপাতলীর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কম্পিউটার কম্পোজের দোকান মের্সাস মনি মুক্তা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে কপি তৈরি করেছে।” 

মামুনের বরাতে বেলায়েত বলেন, জাকির নামে এক ব্যক্তির হোল্ডিং নম্বর নেই। কিন্তু তার সিটি কর্পোরেশনের পানির সংযোগ প্রয়োজন। সংযোগ পেতে হলে আবেদনের সঙ্গে হোল্ডিং নম্বর দিতে হয়। তাই জাকিরের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী মামুন পানির সংযোগ নেওয়ার জন্য জাকিরের আবেদনে হোল্ডিং নম্বর এবং গৃহকরের রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন।

মামুনের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে কর নির্ধারক বাবলু বলেন, ইউসুফ হাওলাদার ও জাকিরের বাবার নাম একই। তাই ইউসুফ হাওলাদারের গৃহকরের কপি স্ক্যান করে নাম পরিবর্তন করেছেন। উভয়ের বাবার নাম ও ঠিকানা একই থাকার কারণে জালিয়াতি করা সহজ হয়েছে।

“মামুনের স্বীকারোক্তি ও সঙ্গে থাকা কাগজপত্র যাচাই করে জালিয়াতির বিষয় প্রমাণ হওয়ায় তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।”

এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে বাবলু জানিয়েছেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, মামুনকে থানায় আনা হয়েছে। নগর ভবন মামলা দেয়নি। দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।