আদালত একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা
করেছে। জরিমানা না দিলে তাকে আরও এক বছর কারাগারে রাখারও আদেশ দিয়েছে আদালত।
বাগেরহাটের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল
২-এর বিচারক মো. নূরে আলম সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত বাচ্চু মৃধা (৫৫) জেলার মোরেলগঞ্জ
উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের বারেব মৃধার ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন বাচ্চু।
তাছাড়া খোকন খান নামে এক আসামির বিরুদ্ধে
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রণজিৎ কুমার মণ্ডল
মামলার নথির বরাতে জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের মো. লোকমান হোসেন ওরফে
বাবু নামে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বাচ্চু মৃধার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ২০১৪ সালের ১১
সেপ্টেম্বর লোকমানের বাড়িতে ঢুকে তার বৃদ্ধ মাকে ধর্ষণ এবং লোকমানের দুই শিশু ছেলেকে
হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরদিন লোকমান থানায় মামলা করেন। বাচ্চু
গ্রেপ্তার হয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত
বিভাগের বাগেরহাট কার্যালয়ের তৎকালীন পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম ২০১৫ সালের ১০ জুলাই
দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী রণজিৎ বলেন, আদালত ২০ জনের সাক্ষ্য
শেষে বাচ্চুকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিয়েছে। খোকন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত
না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
তবে মামলার বাদী মো. লোকমান হোসেন এ রায়ে
সন্তুষ্ট হননি। তিনি মামলার রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।