বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার জানান, উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর জেলার পার গোবিন্দপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে দাউদখালী নদীতে রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার রাত থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। সোমবার সকাল পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান না মেলায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী তল্লাশি অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করে। তবে ফায়ার সার্ভিস এখনও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
নিখোঁজ শিশুরা হল- রামপালের গোবিন্দপুর গ্রামের সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মো. ওমর আলীর ছেলে আহাদ আলী (৭) ও বিল্লালের মেয়ে জান্নাত (৫)। তারা সম্পর্কে খালাত ভাইবোন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সরোয়ার বলেন, আহাদ ও জান্নাত বাড়ির সামনের খোলা মাঠে খেলাধুলা করে রোববার সন্ধ্যায় ঘরে ফেরে। পরে তারা কোনো এক সময় বাড়ির পেছনের দাউদখালী নদীর পাড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তাদের লাশ নদীতে ভাসতে দেখা যায়।
পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী গিয়ে নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকায় রাত ১টা পর্যন্ত তল্লাশি চালায়।
শিশু দুটির মধ্যে কোন একজন প্রথমে অসাবধনতাবশত নদীতে পড়ে যায়। তাকে তুলতে গিয়ে অন্যজনও পানিতে পড়ে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তার।
তিনি বলেন, “শিশু দুটি সাঁতার না জানায় জোয়ার ভাটায় তারা দূরে কোথাও ভেসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের আর জীবিত পাওয়ার আশা নেই; এখন আমরা তাদের মরদেহ খুঁজছি।”
রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাহার আলী টুকু বলেন, শিশু দুটির মধ্যে জান্নাতের মা খুলনায় বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। আর আহাদের বাবা-মা দিনমজুর।
ঘটনার সময়ে তাদের বাবা মা কেউ বাড়িতে ছিল না। বৃদ্ধ নানিই তাদের দেখাশোনা করতেন। তার অজান্তেই হয়তো দুই ভাইবোন নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়।