ক্যাটাগরি

বিসিক আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম
সাংবাদিকদের বলেন, “আগের
আইনটার মডিফিকেশন প্রয়োজন ছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে এটা করা হয়েছে। এটা অনেক বড় আইন,
৬৫টা ধারা রয়েছে।

“একটা করপোরেশন আগেই আছে। তাদের একটা বোর্ড আছে। সেই
বোর্ডের যে চেয়ারম্যান থাকবেন, উনি একটু আলাদা। অন্যান্য
জায়গায় সাধারণত চেয়ারম্যান থাকার পরেও আবার চিফ এক্সিকিউটিভ আলাদা থাকে। কিন্তু বিসিকে চেয়ারম্যানই চিফ এক্সিকিউটিভ। এই জায়গায় একটু আলাদা।”

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, করপোরেশনের জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলাদা
আলাদা কমিটি থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে করপোরেশন কোনো শিল্প পার্ক বা শিল্প নগরীতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংকের
অনুমোদন দিতে পারবে।

নতুন আইনে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ গুরুত্ব
দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

নতুন আইনে কিছু দণ্ডের
বিধান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কোন ব্যক্তি
করপোরেশন থেকে ঋণ বা অন্য কোন সুবিধা হাসিলের উদ্দেশ্য
ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিলে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা
পর্যন্ত জরিমানা করা বা উভয় দণ্ডই দেওয়া হতে পারে।”

ওমানের সঙ্গে
ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুসমর্থন

বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে কূটনীতিক, অফিসিয়াল, বিশেষ বা
সার্ভিস পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন
দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ওমানের সঙ্গে
একটা চুক্তি সই করা হয়েছে যে এখন থেকে যাতে আমরা বিনা ভিসায় ওমান যেতে পারি সেজন্য।
কূটনীতিক, অফিসিয়াল, স্পেশাল এবং
সার্ভিস পাসপোর্টধারীদের… এটা আমাদের যেসব লোকেরা ওখানে কাজ করতে
যাবে তাদের।”

তিনি বলেন, “ইমার্জেন্সির কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে একটা অ্যাপ্রুভাল নিয়ে চুক্তিটা সই করে
ফেলেছিলেন উনারা। কিন্তু যেহেতু আন্তর্জাতিক চুক্তি
ক্যাবিনেটে আসতে হয়। সেজন্য কেবিনেটে আজকে সেটা অনুমোদন দিয়েছে।”

উইং করে শিক্ষা মূল্যায়ন কার্যক্রম
পরিচালনার নির্দেশ

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম)
বা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীনে একটি উইং করে জাতীয়
শিক্ষা মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ ‘জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন,
২০২২’ এর খসড়া উপস্থাপন করলে মন্ত্রিসভা তা
অনুমোদন না দিয়ে এই নির্দেশনা দেয়। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “পরীক্ষা ব্যবস্থা মূল্যায়ন ব্যবস্থার মধ্যে একটা সমতা নিয়ে
আসা, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি আছে এরমধ্যে অ্যাসেসমেন্ট
পদ্ধতিটা যাতে ট্রান্সপারেন্ট থাকে এবং সিমিলারিটি থাকে যাতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে
কোনো অসুবিধা না হয়, এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন নিয়ে এসেছে।

“একটা প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশনের মত করবেন, ডিজি টাইপের একজন লোক দিয়ে নতুন একটা কেন্দ্র করতে চাচ্ছেন।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর এই বিষয়টা নিয়ে একটু দ্বিমত পোষণ করা
হয়েছে। এটার জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই।’ 

তিনি বলেন, “নায়েম
বা এনসিটিবি এই দুইটা যে আছে, এগুলোর আইন ও কার্যক্রম
সুপারভিশন করেন।  ২০০৯ সালে একাডেমিক কাউন্সিল আইন
হয়েছে, সেখানেও এই জাতীয় কিছু ইন্ডিকেশন দেওয়া আছে। এ
তিনটি প্রতিষ্ঠান দেখে… নতুন করে প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই। যদি ওইসব আইন ও
বিধি মডিফিকেশন করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনে একটি উইং করে কাজকর্ম করা যেতে পারে।
প্রয়োজনে একজন পরিচালকের অধীনে ১০/১২ সহায়ক কর্মকর্তা নিয়ে উইং করা যেতে পারে।”

এসব পর্যবেক্ষণ দিয়ে খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভা
ফেরত পাঠিয়েছে।