রোববার হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “এসব পদ-পদবী ব্যক্তিগত পকেট ভারী করার জন্য নয়। সাংগঠনিক পদ বাজার থেকে কিনে আনা কোনো বাজারি পণ্য না।
“সুতরাং, আমাদের প্রত্যাশা এসব ‘পবিত্র’ পদ-পদবী কোন চাঁদাবাজি,
টেন্ডারবাজি বা কোন অবৈধ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না।”
‘আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি’ বর্জনের আহ্বান জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলন,
“আমরা নিজের জন্য না সমাজের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি ভুলতে হবে।”
কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
“আপনারা দুর্নীতিগ্রস্ত হবেন না। দুর্নীতি আমাদের প্রাণের বাংলাদেশকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলছে। দুর্নীতি থেকে সমাজকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করা কঠিন। কিন্তু দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটা আমাদেরকেই করতে হবে। ধাপে ধাপে আত্মসংশোধনের মাধ্যমে দুর্নীতি বর্জন করা সম্ভব।”
যুবলীগকে পেশীশক্তিনির্ভর রাজনীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে পরশ বলেন, “সুশৃঙ্খল সংগঠন দরকার। …
… স্বাস্থ্য সম্পাদক হবেন, নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যের খবর নেবেন না,
আইন সম্পাদক হবেন, নেতাকর্মীদের আইনি সাহায্য দেবেন না – এমন নেতাকর্মী আমাদের দরকার নাই। এ ধরনের নেতাকর্মী দিয়ে আমরা সামনে এগুতে পারবো না।”
আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে যুবলীগের প্রধান বলেন, “সামনে আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ। সামনে নির্বাচন। সেকারণে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। সামনের নির্বাচনে এদেশের গণমানুষের অধিকার রক্ষার নির্বাচন। … … গণমানুষের অধিকার রক্ষায় আগামী নির্বাচনে প্রস্তুত থাকবে যুবলীগ।”
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।