ক্যাটাগরি

রাজস্থানের অপেক্ষা বাড়িয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রোববার এক লাখের বেশি দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে গুজরাটের জয় ৭ উইকেটে। রাজস্থানের ১৩০ রান তারা পেরিয়ে যায় ১১ বল বাকি থাকতে।

প্রথমবার আইপিএলে অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলো গুজরাট। রাজস্থানের আরেকটি শিরোপার অপেক্ষা আরও বেড়ে গেল। ২০০৮ সালে প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

গুজরাটের নায়ক পান্ডিয়া বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন জস বাটলার, সাঞ্জু স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ারের উইকেট। ভারতীয় অলরাউন্ডার পরে ৩০ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস।

উইকেট থেকে বোলাররা পান সহায়তা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে রাজস্থান করতে পারে কেবল ৭ রান।

মোহাম্মদ শামিকে চার মেরে যাশাসবি জয়সওয়াল রানের খাতা খোলেন অষ্টম বলে। এক বল পর হাঁকান ছক্কা। পরের ওভারে ইয়াশ দয়ালকে আরেকটি ছক্কা মারার পরই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি ১৬ বলে ২২ রান করে।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি স্যামসন (১১ বলে ১৪)। নবম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে মাত্র ১ রান দিয়ে রাজস্থান অধিনায়কের উইকেট নেন গুজরাট অধিনায়ক পান্ডিয়া।

এরপর দ্রুত তিন বলের মধ্যে আরও ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। দেবদূত পাডিক্কাল ১০ বলে ২ রান করে ক্যাচ দেন রশিদ খানের বলে। পান্ডিয়ার বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেন বাটলার। আগের ম্যাচে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে দলের জয়ের নায়ক এই ইংলিশ ওপেনার এবার ৩৫ বলে ৫টি চারে করেন ৩৯ রান।

১৭ ম্যাচে চারটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে বাটলার আসর শেষ করলেন ৮৬৩ রান নিয়ে, আইপিএলে এক আসরে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে রেকর্ড ৯৭৩ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গুজরাটের নায়ক অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: আইপিএল

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গুজরাটের নায়ক অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: আইপিএল

ভালো করতে পারেননি হেটমায়ার (১১) আর রবিচন্দ্রন অশ্বিনও (৬)। ষোড়শ ওভারে ৯৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় রাজস্থান। এরপর রিয়ান পরাগের ১৫ ও ট্রেন্ট বোল্টের ১১ রানের সুবাদে কোনোমতে ১৩০ রান করতে পারে দলটি।

দারুণ বোলিং করেন রশিদও। আফগান লেগ স্পিনার ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোরের ২০ রানে প্রাপ্তি ২টি।

রান তাড়ায় রাজস্থানের শুরুটা ভালো ছিল না। দ্বিতীয় ওভারে তারা হারায় ঋদ্ধিমান সাহাকে। প্রথম ওভারে শুবমানের উইকেটও পেতে পারত রাজস্থান, কিন্তু ক্যাচ নিতে পারেননি যুজবেন্দ্র চেহেল।

তিনে নেমে একটি ছক্কা মেরেই বিদায় নেন ম্যাথু ওয়েড। শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন শুবমান ও পান্ডিয়া। অধিনায়ক বিদায় নিলেও ২৯ বলে ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের জয় নিয়ে ফেরেন শুবমান ও ডেভিড মিলার।

৪৩ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রান করেন শুবমান। প্রথম কোয়ালিফায়ারে শেষ ওভারে ৩ ছক্কায় ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে জেতানো মিলার এবার ১৯ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় করেন ৩২ রান।

আইপিএলের পঞ্চদশ আসর এটি। অংশ নিয়েছিল ১০ দল। দুই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হলো চ্যাম্পিয়ন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৩০/৯ (জয়সওয়াল ২২, বাটলার ৩৯, স্যামসন ১৪, পাডিক্কাল ২, হেটমায়ার ১১, অশ্বিন ৬, পরাগ ১৫, বোল্ট ১১, ম্যাককয় ৮, প্রসিধ ০*; শামি ৪-০-৩৩-১, দয়াল ৩-০-১৮-১, ফার্গুসন ২-০-২২-০, রশিদ ৪-০-১৮-১, পান্ডিয়া ৪-০-১৭-৩, কিশোর ২-০-২০-২)

গুজরাট টাইটান্স: ১৮.১ ওভারে ১৩৩/৩ (ঋদ্ধিমান ৫, শুবমান ৪৫*, ওয়েড ৮, পান্ডিয়া ৩৪, মিলার ৩২*; বোল্ট ৪-১-১৪-১, প্রসিধ ৪-০-৪০-১, চেহেল ৪-০-২০-১, ম্যাককয় ৩.১-০-২৬-০, অশ্বিন ৩-০-৩২-০)

ফল: গুজরাট টাইটান্স ৭ উইকেটে জয়ী ও চ্যাম্পিয়ন

ম্যান অব দা ম্যাচ: হার্দিক পান্ডিয়া

ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: জস বাটলার