রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই শিশুর মৃত্যু হয় নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান।
আল আমিন নামের সাত বছর
বয়সী শিশুটি তার মা ইয়াসমিন এবং সৎ বাবা মোকারমের সঙ্গে নগরীর চকবাজার অলি খাঁ
মসজিদ এলাকায় থাকত।
আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির
পর গৃহকর্মীর কাজ করা ইয়াসমিন ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মোকারককে বিয়ে করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা নোবেল জানান, প্রতিদিনের মত রোববারও আল আমিনকে
ঘরে রেখে ইয়াসমিন কাজে গিয়েছিলেন, ওই সময় মোকাররম বাসায় ছিলেন।
ইয়াসমিন যখন কাজে, তখন মোকাররম তাকে ফোনে খবর দেন, আল আমিন
বাথরুমে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ইয়াসমিন বাসায় ফিরলে দুজনে
মিলে দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নোবেল
চাকমা বলেন, “হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক আল-আমিনকে মৃত ঘোষণা করলে মোকারম
কৌশলে সটকে পড়েন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে রাতে।”
পুলিশের সুরতহালে আল আমিনের বুক, মাথাসহ শরীরের নানা স্থানে
জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়, সে কারণে তারা ধারণা করছেন, শারীরিক নির্যাতনে শিশুটির
মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
ছেলের মৃত্যুর কথা শুনে ইয়াসমিন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত কিছু জানতে পারেনি পুলিশ।
আল আমিনের মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এডিসি নোবেল চাকমা
জানান।