সেই
সঙ্গে ‘প্রকৃত
ঘটনা ও দায়ীদের’ চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে
২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার
ইসির যুগ্মসচিব জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
আগামী
১৫ জুন শতাধিক ইউপির ভোট রয়েছে। এ ভোটকে সামনে রেখে ২৮ মে থেকে প্রচারে নেমেছে
প্রার্থীরা।
সম্প্রতি
এক ভিডিওতে দেখা যায়,
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী আঞ্চলিক ভাষায় ভোটারদের উদ্দেশে
বলেছেন, ইভিএমে ভোট না হলে রাতেই সব ভোট নিয়ে নিতেন
তিনি। আইডি যাচাই করে ইভিএমে ভোট দিতে হয়, কষ্ট
করে কার্ড নিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে হয়। ছাপ দিতে না জানলে সেখানে ছাপ
দেওয়ার জন্যে মানুষ রাখবেন তিনি।
ইভিএমের চ্যালেঞ্জ শুধু গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’: আহসান
বিষয়টি
ইসির নজরে এলে মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইভিএম’র ভোট সম্পর্কে
চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর ফেইসবুকে
অপপ্রচারের বিষয়ে যাচাইপূর্বক প্রকৃত ঘটনা, দায়ী
ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক ও
পুলিশ সুপার, চট্টগ্রামকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
ইভিএমের
গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ ঠেকাতে একজন নির্বাচন কমিশনারের হুঁশিয়ারি
দেওয়ার পরদিনই এ নির্দেশ দেওয়া হল।
ইসির
ইভিএমে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই দাবি করলেও একটি ক্ষেত্রে শঙ্কার কথা সোমবার
জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
তিনি
বলেছিলেন, “ইভিএমের
মধ্যে চ্যালেঞ্জ একটাই। আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না। সেটা হচ্ছে- একটা ডাকাত,
সন্ত্রাসী, ওই গোপন কক্ষে একজনকে দাঁড়িয়ে রাখা।
আপনার ভোট হয়ে গেছে, চলে যান। দিজ ইজ দ্য চ্যালেঞ্জ।”