অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে বিক্ষোভের সেই দৃশ্য। গত ২৩ মে তে ওই ১০ তলা ভবন ধসের ঘটনায় মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আহত হয়েছে আরও ৩৭ জন।
খুজেস্তান প্রদেশে আবাদান শহরের এই ভবনটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক দুই কাজেই ব্যবহার করা হতো। উদ্ধারকারীরা এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
ভবন ধসে পড়ার জন্য দুর্নীতি এবং নিরাপত্তায় শিথিলতাকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। ভবন নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন করার কারণে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে ইরানের বিক্ষোভকারীরা ভবন ধসের জন্য সরকারের অবহেলা এবং ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতিকেই দায়ী করেছে। টুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদেরকে ‘খামেনি নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে।
তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। খামেনির বিরুদ্ধে স্লোগানকে ইরানে শেষ সীমা (রেড লাইন) বলেই বিবেচনা করা হয়। আরেকটি ভিডিওতে দাঙ্গা পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।
দক্ষিণাঞ্চলের বুশেহের বন্দর নগরীতেও বিক্ষোভকারীদেরকে খামেনিকে উদ্দেশ্য করে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ইরানের অন্যান্য আরও নগরীতেও বিক্ষোভের ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।