মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি’র (বিইউবিটি) পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এই সঙ্কটের কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, “চাকরিদাতা ও চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একটা ফারাক থেকে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো ডিগ্রি থাকলেও হয়ত সে চাকরিটা না পেয়ে আশপাশের তত ডিগ্রিধারীও নয়, এমন ব্যক্তি চাকরি পেয়ে যাচ্ছে।”
‘সফট স্কিলসে’ ঘাটতি থেকে যাওয়াকে এর কারণ হিসেবে দেখছেন মন্ত্রী।
“আমরা তাকে হয়ত জব-রেডি তৈরি করছি না। চাকরিদাতা একজনকে চাকরি দেওয়ার পরে এক-দুই বছর শিখিয়ে নেবে, সেটি নিশ্চয়ই করতে চাইবেন না। আমাদের শিক্ষার্থীদের সেভাবেই তৈরি করতে হবে, যাতে সে জব-রেডি হয়ে বের হয়।”
চাকরির বাজারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা দেওয়ার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন প্রজন্মকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্য হতে হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি তার থেকে পিছিয়ে পড়লে চলবে না।
শিখতে শেখার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “কারণ এখন বলা হচ্ছে বিশ্ব এত দ্রুত পরিবর্তিত হবে যে, আজকে আমি যা শিখছি হয়তো কয় বছর পরই তা পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। কাজেই আমার একটা সেট আপ স্কিল থেকে আরেকটি সেট আপ স্কিলে যেন সহজেই নিজেকে নিয়ে যেতে পারি, সেজন্যই শিখতে শেখা খুবই জরুরি।”
বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব, দক্ষ, যোগ্য, আধুনিক এবং মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষ গড়ে তুলতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার মান উন্নত করতে সরকার সচেষ্ট বলে জানান তিনি।
“এটি আমাদের অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার। একে মাথায় রেখে আমরা নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি।”
এর মাধ্যমে পরীক্ষানির্ভর, মুখস্থনির্ভর, সনদ সর্বস্ব ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আনন্দময় শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
“আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনে যাবে, সক্রিয় শিখনে যাবে। অর্থাৎ নিজেরা করে করে শিখবে। তাহলে মনে ধরে রাখতে পারবে এবং সঠিকভাবে তা প্রয়োগও করতে পারবে।”
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়পির এই সমাবর্তনে ৬ জনকে স্বর্ণপদকসহ সর্বমোট ৩ হাজার ৩১১ গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া করা হয়।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম, বিইউবিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক আহমেদ সিদ্দিক, বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফৈয়াজ খান।