মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি; সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় কাদের এই হুঁশিয়ারি দেন।
কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি মনে করেছে ছাত্রদলকে দিয়ে ক্যাম্পাসে অরাজকতা করবে।”
প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকির’ সমুচিত জবাব ছাত্রলীগ দিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “‘৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লোগান দেবে, নেত্রীকে হত্যার হুমকি দেবে, আর আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, তারা বসে বসে আঙুল চুষব?
“যারা ছাত্র রাজনীতি করে তারা কি চুপ করে বসে থাকবে? এই কথা বললে তরুণদের মাথা ঠিক থাকে? শান্তিপূর্ণভাবে তারা করুক।”
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিক, কোনো আপত্তি নেই। তারা সরাসরি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, আমরা বসে বসে তামাক খাব? তাদের (ছাত্রলীগ) রক্ত গরম হবে না?
“মির্জা ফখরুল, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস হলে রাজপথেই তার জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
“স্পষ্ট বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিবেন, আওয়ামী লীগ কি মরে গেছে? আওয়ামী লীগ কি রাজপথ কাউকে ইজারা দিয়েছে?…।সেই জন্য আপনাদের প্রস্তুত হতে নেত্রীর নির্দেশে এই সভা ডেকেছি, প্রস্তুত হয়ে যান।”
‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি না এলে ভোট কারও জন্য বসে থাকবে না’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন, সরকারের অধীনে নয়, ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে।
“সময় আর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না, তাই তাদের জন্যও অপেক্ষা করবে না।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ‘সংবিধান বহির্ভূত’ আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সংবিধানে যে নির্বাচন সংক্রান্ত মীমাংসা উচ্চ আদালত দিয়ে দিয়েছে, এ ধরনের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে।”
ইসি নিরপেক্ষ থাকলে নির্বাচনও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা রাখেন ওবায়দুল কাদের। ভোটে সব দলের অংশগ্রহণের আশার কথাও তিনি বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ফারক খান, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ সম্পাদক সুজি রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।