গত ২১ মে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আলবানিজের নেতৃত্বে মধ্য-বামপন্থি দল লেবার পার্টি সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের রক্ষণশীল জোটকে পরাজিত করে। যার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় ফেরে লেবার পার্টি।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রাথমিক ফলে স্বতন্ত্র এবং ছোট দলগুলো রেকর্ড সংখ্যক ভোট পাওয়ায় আলবানিজের দল একক সরকার গঠন করতে পারবে কিনা তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
ডাক যোগে আসা ভোট গণনা শেষ অবশ্য সংশয়ের সেই মেঘ কেটে গেছে। কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৭৬টি আসনে জয়লাভ করেছে লেবার পার্টি।। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মোট আসন সংখ্যা ১৫১টি।
শপথ নিলেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ
জলবায়ু নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন নেতা
তবে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও উচ্চকক্ষ সেনেটে অবস্থা খানিকটা ভিন্ন। সেখানে কোনও আইন পাস করাতে হলে আলবানিজের ‘ক্রসবেঞ্চ সাপোর্ট’ এর প্রয়োজন হবে।
সরকারি বা বিরোধীদলের অংশ নন, পার্লামেন্টে এমন সদস্যদের ‘ক্রসবেঞ্চ’ সদস্য বলা হয়।
বিবিসি জানায়, এবারের নির্বাচনে একতৃতীয়াংশ ভোটার বড় দলের বাইরের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ফলে ‘দ্য গ্রিনস’ দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচুর ভোট পেয়েছেন। এরা নির্বাচনী ইশতেহারে মূলত জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলবানিজও ভোটারদের মন জয় করেছেন। পার্লামেন্টে ‘ক্রসবেঞ্চারদের’ সঙ্গে ‘গঠনমূলক সম্পর্ক’ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ।
প্রতিনিধি পরিষদের ১৫১টি আসনের মধ্যে এখনো দুইটি আসনে ফল ঘোষণা বাকি আছে। মঙ্গলবার নিজের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে পারেন আলবানিজ।