এর আগে, গুগল ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ
আগেই ‘পিক্সেল ওয়াচ’-এর প্রোটোটাইপ রেস্টুরেন্টে ফেলে এসেছিলেন এক ব্যক্তি।
ইবেতে বিক্রির জন্য তোলা পিক্সেস ৭-এর
প্রোটোটাইপের মতো দেখতে ডিভাইসটি আলোচনার জন্ম দিয়েছিল ‘পিক্সেল সাবরেডিটে। তবে, সাবরেডিটে
আলাপ-আলোচনা শুরু হওয়ার পরপরই ইবে সাইটে বিজ্ঞাপনটি আর দেখা যাচ্ছে না।
বিজ্ঞাপনদাতার পোস্ট করা ছবি থেকে ডিভাইসটি
সম্পর্কে তেমন ধারণা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। তবে,
ডিভাইসের সামনের অংশ ‘পিক্সেল ৬’-এর মতো দেখতে এবং একই ধরনের ফ্রন্ট ক্যামেরা আছে বলে
জানয়েছে সাইটটি। এ ছাড়া, ডিভাইসটির পেছনের ক্যামেরাতেও ‘পিক্সেল ৬’-এর মতো দুটি লেন্স
আছে।
চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে, কথিত ‘পিক্সেল ৭’-এর ছবিতে বিক্রেতা
ছবি তোলার জন্য যে ডিভাইস ব্যবহার করেছিলেন তার প্রতিফলনও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে এনগ্যাজেট।
আর সেই প্রতিফলন বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, সম্ভবত ‘পিক্সেল ৭ প্রো’ ডিভাইসের
প্রোটোটাইপ ছিল সেটা।
অর্থাৎ, যিনিই ছবি তুলে থাকুন, তার হাতে আসন্ন পিক্সেল
লাইনআপের অন্নত দুটি মডেলের ডিভাইস ছিল।
বিজ্ঞাপনের বিবরণীতে বিক্রেতা দাবি করেছেন, ‘অ্যান্ড্রয়েড
১৩’ অপারেটিং সিস্টেমে চলে ডিভাইসটি। নির্মাণাধীন পর্যায়ের বেশ কিছু অ্যাপ আছে ডিভাইসটিতে।
নতুন এই ফোনে ১২৮ জিবি স্টোরেজ, আট জিবি র্যাম আছে
বলে দাবি করেছিলেন বিক্রেতা। ডিভাইসটির সঙ্গে কোনো গ্যারান্টি নেই বলে উল্লেখ করেছিলেন
তিনি। এনগ্যাজেট ধারণা করছে, বিক্রি হলে সম্ভবত টেক্সাসের ম্যাককিনে শহর থেকে ফোনটি
পাঠানো হতো।
‘পিক্সেল ৭’ এবং ‘পিক্সেল ৭ প্রো’-এর ঘোষণা গুগল
দিয়েছে ‘আই/ও’ আয়োজনে। তবে দ্বিতীয়-প্রজন্মের
‘টেনসর চিপ’ নির্ভর ডিভাইসগুলোর বাজারে আসতে সময় লাগবে আরও কয়েক মাস।
এনগ্যাজেট বলছে, সম্ভবত আগামী কোনো হার্ডওয়্যার আয়োজনে
ডিভাইসগুলোর বিস্তারিত তথ্য দেবে গুগল। তবে, ডিভাইস ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনার কারণে গুগলের
আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য দেওয়ার আগেই আগ্রহীদের কাছে বিস্তারিত তথ্য পৌছে যাবে বলে ধারণা
করছে সাইটটি।