মঙ্গলবার হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক ও সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে গণসংহতির কার্যালয়ে যান ফখরুল।
অন্যদিকে গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃত্বে দেন দলের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী।
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে সাত দলের নতুন এক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের আলোচনার মধ্যেই ওই মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপে বসল বিএনপি।
এর আগে গত ২৪ মে নাগরিক ঐক্য এবং ২৭ মে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির সাথে সংলাপ করেন বিএনপি নেতারা।
গত ২৯ মে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন- এই সাত দলকে নিয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ার বিষয়ে মতৈক্য হয়।
সোমবারের সংলাপে জোনায়েদ সাকীর সঙ্গে নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ইমরাদ জুলকারনাঈন, বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাঈন বাবু, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমানও অংশ নেন ।
‘গণতান্ত্রিক মঞ্চে’ যুক্ত হওয়ার আলোচনার মধ্যে গত ২৫ মে বাম গণতান্ত্রিক জোট বেরিয়ে যায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও জনসংহতি আন্দোলন।
নেতাদের বক্তব্য, বাম জোটের মাধ্যমে আন্দোলন করে ‘সরকার পতন’ সম্ভব নয়। জোটের আন্দোলনের ‘কৌশলগত’ দিক নিয়েও প্রশ্ন ছিলো তাদের। সেই মতানৈক্যের কারণে তারা সদস্য পদ স্থগিত রেখে ওই জোট থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
পুরনো খবর:
নাগরিক ঐক্যের পর লেবার পার্টির সঙ্গে বসল বিএনপি