বিমান
কর্তৃপক্ষ রোববার বিবিসি-কে একথা নিশ্চিত
জানিয়েছে।
বিবিসি
নেপালি-কে সিভিল এভিয়েশন
অথোরিটি নেপাল (সিএএএন)- এর মুখপাত্র দেও
চন্দ্র লাল কর্ণ বলেছেন,
“ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, যাকে
বিমানের ব্ল্যাকবক্সও বলা হয়; সেটি
দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা
হয়েছে।
ব্ল্যকবক্সটিকে
রাজধানী কাঠমান্ডুতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান
তিনি। স্থানীয় এক উদ্ধারকর্মী জানান,
পর্বতের গাইড এবং নিরাপত্তা
কর্মকর্র্তারা বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ব্ল্যকবক্সটি বের
করে নিয়ে এসেছেন।
সোমবার
উদ্ধারকারীরা প্রথম উড়োজাহাজটির বিধ্বস্তস্থল চিহ্নিত করে। এরপর থেকে
উড়োজাহাজের ২২ আরোহীর সবার
মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে।
উড়োজাহাজটির
২২ আরোহীর মধ্যে চারজন ভারতের, দুইজন জার্মানির এবং ১৬ জন
নেপালের নাগরিক।
তাদেরকে
বহনকারী ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা-ডিএইচসি-৬-৩০০ টুইন
অটার বিমানটি রোববার নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে
জমসম বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পরই
সেটি বিধ্বস্ত হয়।
পোখারা
বিমানবন্দর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১২৫ কিলোমিটার
পশ্চিমে। পোখারা থেকে ৮০ কিলোমিটার
উত্তর-পশ্চিমের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ও তীর্থস্থান জমসমে
যাচ্ছিলেন আরোহীরা। মাত্র ২০ মিনিটেই তাদের
জমসমে পৌঁছানোর কথা ছিল।
কিন্তু
উড্ডয়নের পর এক পর্যায়ে
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
হয়ে যায়। পরে নেপাল-চীন সীমান্তে মাউন্ট
ধুলাগিরি অঞ্চলের মুস্তাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। মাউন্ট ধুলাগিরি
বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, যার উচ্চতা ৮
হাজার ১৬৭ মিটার।
কন্ট্রোল
টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রথমে পাইলটের
মোবাইলের ‘জিপিএস লোকেশন’ ধরে উড়োজাহাজের অবস্থান
শনাক্ত করা হয়।