প্রয়াত বিএনপি নেতা
সাবেক মন্ত্রী হারুনুর রশিদ খান মুন্নুর হরিরামপুরের বাসভবনে সোমবার এ ঘটনা ঘটে
বলে দলের নেতাদের অভিযোগ।
এ ঘটনার জন্য বিএনপি
নেতারা ছাত্রলীগকে দায়ী করলেও ওই সংগঠনের নেতারা তা অস্বীকার করেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির
সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও গালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিক বিশ্বাস বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রয়াত মন্ত্রী শ্রদ্ধেয় হারুনুর রশিদ খান মুন্নুর
হরিরামপুরের বাসভবনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের
শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছিল। আমি বক্তব্য দেওয়ার সময়
ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে।”
হামলায় যুবদল ও
ছাত্রদলের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন; তাদের মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা
ছাত্রলীগ সভাপতি এম এ সিফাদ কোরাইশি বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশক অস্থিতিশীল করার অংশ হিসেবে হরিরামপুর অস্থিতিশীল
করতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল আজ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করেছে।”
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ
সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা
করেছে। এক পুলিশ সদস্যও আহত
হয়েছেন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার
করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ফিরোজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “আমাদের নেত্রীকে নিয়ে
বিএনপির আলোচনা সভায় কটূক্তি করতে থাকে। আমরা এগিয়ে যাই। এসময় ছাত্রদল ও যুবদল
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করে।”
পুলিশের বিশেষ শাখার এক
সদস্য ফজলুর রহমান আহত হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
ডিএসবি সদস্য ফজলুর
রহমান বলেন, “আলোচনা সভায় ৪০-৫০ জন হামলা করে। দুপক্ষের মাঝে পড়ে আমি আঘাতপ্রাপ্ত
হয়েছি। হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি।”
হরিরামপুর থানার ওসি
সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, “ডিএসবির সদস্য ফজলুর রহমান দুপক্ষের ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন।”