চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত মঙ্গলবার এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বাদশা আলম, ফারুক মিয়া ওরফে ফরুক, মো. সেকান্দর ও আবুল কালাম আজাদ। তাদের উপস্থিতিতেই আদালত রায় ঘোষণা করে।
অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল রাত ২টায় জহিরুল হক বাচা এবং তার মামাতো ভাই মো. হারুনকে বার আউলিয়া এলাকার ইকুইটি রেডিমিক্স কারখানার কাছে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
তারা দুজন বার আউলিয়া এলাকার দিল মোহাম্মদের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন। আসামিরা ইয়ার্ড থেকে লোহাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করত। তাতে বাধা দিয়েছিলেন হারুন ও জহিরুল।
আইনজীবী লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, “নাইট ডিউটিতে থাকা হারুন ও জহিরুল ঘটনার রাতে ইয়ার্ড থেকে বের হয়ে চা খেতে গিয়েছিল। এ সময় আগে থেকে সেখানে থাকা আসামিরা তাদের ধরে নিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিলে সেখানে তারা মারা যায়।”
এ ঘটনায় হারুনের বাবা মো. আলী ওরফে মনা মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলার বিচারে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের জবানবন্দি শুনে মঙ্গলবার চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।