সংঘর্ষের সময় ‘কয়েকশ বোমা বিস্ফোরণসহ অর্ধশত বাড়ি ও দোকানপাটে’ ভাংচুর করা হয়। ‘সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন’ দুই পুলিশ সদস্য।
পালং থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, বিনোদপুর ইউনিয়নের গয়াতলা ঢালীকান্দি ও কাচারিকান্দিতে মঙ্গলবার সকালে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে টেটাবিদ্ধ স্বপন মিয়া ও দিদার চৌকিদারসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে এসআই বলেন, অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
“সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আমিসহ দুইজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”

এলাকাবাসী জানান, সোমবার রাতে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এমদাদ মাদবর গয়াতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঢালীকান্দিতে তার ওপর হামলা হয়। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের গয়াতলা ঢালীকান্দি ও কাচারিকান্দিতে এমদাদ মাদবরের সমর্থকরা একই ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কোব্বাছ মাদবরের সমর্থকদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
ওসি আক্তার বলেন, “সেখানে কয়েকশ বোমা বিস্ফোরিত হয়। ১০টি দোকানপাট, কোব্বাছ মাদবরের ঘর ও প্রায় অর্ধশত বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। পুলিশ সেখান থেকে দুটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে।”
এমদাদ মাদবরের অভিযোগ, “প্রতিপক্ষের হামলার প্রতিবাদে আমার লোকজন হামলা চালিয়েছে।”
তবে কোব্বাছ মাদবর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় আমি জড়িত না। তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমি তা প্রতিহত করেছি।”
এখনও কোনো পক্ষ মামলা করেনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আক্তার হোসেন।