হাঙ্গেরির
বিরোধিতার কারণে তেল আমদানিতে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে আপস করতে
হয়েছে।
এর
ফলে পাইপলাইনে তেল আমদানির ক্ষেত্রে ইইউ দেশগুলো আপাতত ছাড় পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউরোপিয়ান
কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিশেল বলেছেন, নতুন এ সমঝোতা রাশিয়ার যুদ্ধ ‘অর্থায়নের বিশাল একটি উৎস’ বন্ধ করে দেবে।
ইউরোপীয়
ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক সবেরব্যাংক ও রাষ্ট্র-মালিকানাধীন তিনটি সম্প্রচারমাধ্যমের
ওপরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে, বলেছেন তিনি।
রাশিয়ার
তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনে ইইউ সদস্য দেশগুলো গত কয়েক সপ্তাহ
ধরে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও প্রধানত হাঙ্গেরিই তেল আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে
আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
শেষ
পর্যন্ত ‘পাইপলাইনে সরবরাহ হওয়া তেলের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড়’ দিয়ে আপস করতে হয়েছে, সাংবাদিকদের জানান মিশেল।
এ
কারণে নিষেধাজ্ঞা এখন মূলত সমুদ্রপথ দিয়ে যাওয়া তেলের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে। ইইউ রাশিয়া
থেকে যত তেল আমদানি করে তার দুই তৃতীয়াংশই সমুদ্র দিয়ে যায়।
অবশ্য
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লিয়েন বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি
দুই-তৃতীয়াংশের বেশিই বন্ধ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কেননা, জার্মানি ও পোল্যান্ড
স্বেচ্ছায় এ বছরের মধ্যে তাদের পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাকি
যে ১০ থেকে ১১ শতাংশ থাকবে, তা মূলত হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক রিপাবলিকে যাবে।
পাইপলাইনে
আমদানিতে ছাড়ের বিষয়টি ‘যত দ্রুত সম্ভব’ পুনর্বিবেচনা
করবে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল, বলেছেন তিনি।