দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপলের সাফারি
ব্রাউজারের সঙ্গে ক্রোমের দূরত্বও বেশ লক্ষ্যণীয়। ভিপিএন সেবাদাতা অ্যাটলাসের তথ্য
বলছে, সাফারি ব্রাউজারের নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা আনুমানিক একশ কোটির কিছু বেশি।
বাজারে আরও বেশ কয়েকটি ব্রাউজার সফটওয়্যার
থাকলেও, প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকা বলছে, ক্রোম আর সাফারির সঙ্গে অন্যান্য সফটওয়্যারগুলোর
দূরত্ব এতোটাই বেশি যে ব্যবহারকারীর সংখ্যার বিচারে শীর্ষ দুইয়ের আশপাশে নেই আর কেউই।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, ব্যবহারকারীর
সংখ্যা গণনায় কেবল ডেস্কটপ পিসির ব্যবহারকারীদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি, মোবাইল ব্যবহারকারীরাও
আছেন। আর্স টেকনিকা বলছে, সাফারি আইফোন ও আইপ্যাডের ডিফল্ট ব্রাউজার হওয়ায়, ম্যাক কম্পিউটারের
তুলনায় বহনযোগ্য ডিভাউসগুলোতেই এর ব্যবহার বেশি।
অন্যদিকে, বাজারের প্রথম সারির ব্রাউজারগুলোর
মধ্যে অ্যান্ড্রেয়েডে কেবল সাফারি ব্রাউজারই অনুপস্থিত। দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে সবচেয়ে
জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। আর ডেস্কটপ কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের
বেলায় সমান্তরাল অবস্থানে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম।
এ প্রসঙ্গে অ্যাটলাস ভিপিএন তাদের নিজস্ব
ব্লগে বলছে, ব্রাউজারের বাজার নিয়ে গ্লোবালস্ট্যাটসের শতাংশের হিসেব থেকে এসেছে তাদের
পরিসংখ্যান। এক্ষেত্রে শতাংশের হিসেবকে ব্যবহারকারীর সংখ্যায় ফেলে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের
চেষ্টা করেছে ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাটলাসের তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী ক্রোম
ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৪০ কোটির কাছাকাছি। সাফারি ব্রাউজারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ
কোটি ৬২ লাখের ঘরে। মাইক্রোসফটের এজ ব্রাউজার আছে তৃতীয় অবস্থানে, এর ব্যবহারকারীর
সংখ্যা আনুমানিক ২১ কোটি ২৬ লাখের কিছু বেশি। প্রায় ১৮ কোটি ব্যবহারকারী নিয়ে চতুর্থ
স্থানে আছে ফায়ারফক্স।
ব্রাউজারের বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য
ধরে রেখেছে গুগলের ক্রোম। আর্স টেকনিকা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি এমনই যে, ক্রোম ব্রাউজার
একাই যেন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবের সমতূল্য। অন্যদিকে, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মাইক্রোসফটের
এজ ব্রাউজারও নির্মাণ করা হয়েছে গুগলের ক্রোমিয়ামের ওপর ভিত্তি করে।
একটা সময় পর্যন্ত সাফারি নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা
ছিল অ্যাপলের, উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের জন্যেও ব্রাউজারটি বাজারজাত করতো আইফোন ও ম্যাক
নির্মাতা। কিন্তু ২০১০ সালের জুন মাসে সাফারির উইন্ডোজ সংস্করণের কাজ বন্ধ করে দেয়
অ্যাপল।
উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১-তে বিকল্প
পথে সাফারি ব্রাউজার ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও এক্ষেত্রে ঝুঁকির মুখে পড়ে ব্যবহারকারীর
নিরাপত্তা।
সাফারি আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের ডিফল্ট
ব্রাউজার হলেও, আইফোন এবং আইপ্যাডে তৃতীয় পক্ষীয় ব্রাউজার ইনস্টল করার সুযোগ রয়েছে
এখন। অ্যাপল বহনযোগ্য ডিভাইসে সাফারি বাদে অন্য কোনো ব্রাউজার ডিফল্ট হিসেবে নির্ধারণ
করে দেওয়ার সুযোগ আনে ২০২০ সালে।