তার মতে, তেবাসের এমন মন্তব্য করা সমীচিন নয় এবং তিনি বার্সেলোনার স্বার্থে আঘাত করতে চান।
গত মৌসুমের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলতে গ্রীষ্মের দলবদলে খেলোয়াড় কেনার কথা আগে থেকেই বলে আসছেন লাপোর্তা ও বার্সেলোনা কোচ শাভি এরনান্দেস। তবে এক্ষেত্রে তাদের জন্য বড় বাধা হতে পারে ক্লাবটির আর্থিক অবস্থান।
গত গ্রীষ্মের দলবদলেই অর্থনৈতিক দৈনতা ও লা লিগার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লের কারণে বার্সেলোনা ক্লাবে ধরে রাখতে পারেনি লিওনেল মেসিকে। দল ছেড়ে যান আরও কয়েকজন খেলোয়াড়। তবে এবার নতুন খেলোয়াড় কেনার ব্যাপারে আশাবাদী ক্লাবটি।
লেভানদোভস্কিকে ঘিরেই তাদের সবচেয়ে বড় চাওয়া বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, বায়ার্ন মিউনিখে তার অধ্যায় শেষ এবং তিনি ক্লাব ছাড়তে ইচ্ছুক। এতে ওই গুঞ্জন আরও জোরাল হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের খবর, ৩৩ বছর বয়সী এই তারকাও নাকি কাম্প নউয়ে যোগ দিতে আগ্রহী।
তবে সম্প্রতি নতুন খেলোয়াড় কেনার ব্যাপারে বার্সেলোনাকে হুশিয়ারি দিয়ে তেবাস বলেন, লিগের নিয়ম-নীতি মেনে লেভানদোভস্কিকে কেনার অবস্থায় নেই ক্লাবটি। তাকে কিনতে হলে খেলোয়াড় বিক্রির বিকল্প নেই বার্সেলোনার।
ক্লাবের টুইটারে মঙ্গলবার দেওয়া এক বার্তায় তেবাসের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন লাপোর্তা। তিনি মনে করেন, লিগ সভাপতি বার্সেলোনার স্বার্থে আঘাত করেছেন।
“লিগ সভাপতি বলেছেন যে আমরা কোনো খেলোয়াড় কিনতে পারব না। আমি তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে তার কাজ লিগ এবং ক্লাবগুলোর স্বার্থরক্ষা করা।”
“তাই যথাযথ সম্মানের সঙ্গে আমি তার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, আমরা নির্দিষ্ট কোনো এক খেলোয়াড়কে কিনতে পারি কি-না, সে বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। কারণ স্পষ্টতই তিনি এফসি বার্সেলোনার স্বার্থে আঘাত করছেন।”
৫৯ বছর বয়সী লাপোর্তার মতে, সবসময় হয়তো আলোচনায় থাকতেই এই ধরনের মন্তব্য করেন তেবাস।
“আমি জানি না তিনি এই মন্তব্যগুলো স্বেচ্ছায় করেছেন নাকি অনিচ্ছাকৃতভাবে। যদি তিনি এটা স্বেচ্ছায় করে থাকেন, তাহলে এটা খুব স্পষ্ট যে তিনি বার্সার স্বার্থে আঘাত করতে চাইছেন।”
“আর যদি তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবেই করে থাকেন, তাহলে বলব এটি তার কথা বলার লাগামহীনতার আরেকটি উদাহরণ এবং লিগ সভাপতি যে লাইমলাইটে থাকতে চান এটা তার আরও বড় প্রমাণ।”