টানা ৬ দিনের তুমুল বৃষ্টি দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যেও ফেলেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উত্তরপূর্বের রাজ্য পার্নামবুকোর গভর্নর পাউলো কামারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভূমিধস ও ভয়াবহ বন্যার মধ্যেও নিঁখোজদের সন্ধানকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে তাদের সরকার।
“সব নিখোঁজকে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না। এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে মৌলিক পয়েন্ট,” বলেন কামারা।
ব্রাজিলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ টুইটারে জানিয়েছে, পার্নামবুকোর রাজধানী রেসিফসহ রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় আরও বন্যা হওয়ার ‘অনেক বেশি’ সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পার্নামবুকো রাজ্যে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য ও ত্রাণ পাঠানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ডিসেম্বরের শেষ এবং জানুয়ারির শুরুর দিকে ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়; বাস্তুচ্যুত হয় ১০ হাজার মানুষ।
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সাও পাওলোতে জানুয়ারি মাসে বন্যায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। পরের মাসে রিও দে জেনেইরোর পাহাড়ে প্রবল বর্ষণে প্রাণ যায় ২৩০ জনের।