বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগে গত সোমবার বারবাডোজে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট এক বিবৃতিতে খবরটি জানায়।
হলফোর্ড ছিলেন লেগ স্পিনার ও লোয়ার-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৪ টেস্ট খেলে তিনি উইকেট নেন ৫১টি। একটি সেঞ্চুরিতে রান করেন ৭৬৮।
সত্তরের দশকে তার নেতৃত্বে প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা শেল শিল্ডে পাঁচটি শিরোপা জেতে বারবাডোজ। প্রতিযোগিতাটিতে এক হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেওয়া প্রথম ক্রিকেটার তিনি। সেখানে খেলেছেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর হয়েও। বিদ্রোহী ওয়ার্ল্ড সিরিজেও খেলেছেন তিনি।
১৯৬৬ সালে অভিষেক টেস্টেই হলফোর্ড দেখান চমক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাজিন সোবার্সের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ১২৭ রানের জুটি। ১১৬ বল খেলে হলফোর্ড করেন ৩২ রান। সোবার্স খেলেন ১৬১ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ব্যবধানে জেতা ম্যাচটিতে হলফোর্ড হাত ঘুরিয়ে নেন ৪ উইকেট। ফ্রেড টিটমাসকে বোল্ড করে পেয়েছিলেন তার প্রথম উইকেট।
লর্ডসে পরের টেস্টেই তিনি খেলেন ম্যাচ বাঁচানো ১০৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানে পিছিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তিনি ২৭৪ রান তুলেছিলেন সোবার্সের সঙ্গে। সেই ম্যাচ ড্র করে শেষ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা।
বোলিংয়ে হলফোর্ড ক্যারিয়ার সেরা ২৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে, ভারতের বিপক্ষে নিজের ঘরের মাঠ বারবাডোজে।
অবসরের পর তিনি বারবাডোজ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ও নম্বইয়ের দশকে দলটির ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন।
নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই খুব অল্প বয়সে শিবনারায়ণ চন্দরপলকে তুলে এনেছিলেন। সেই চন্দরপল পরে হয়ে ওঠেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রেট ক্রিকেটারদের একজন।