গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটি তখন দাবি করেছিল যে, তারা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত চলমান এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ, বসতভিটা হারিয়েছেন অনেকে।
যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আগেই ইউক্রেইনে সব ধরনের ফুটবল স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে ছিল ইউক্রেইনের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের ম্যাচও। তাদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, গত ২৪ মার্চ ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধের কারণে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে ইউক্রেইন, সাড়া দেয় ফিফা।
নতুন সূচিতে ইউক্রেইন ও স্কটল্যান্ডের ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত পৌনে একটায়।
এই ম্যাচকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের কথা বলতে গিয়ে ভেঙে পড়েন জিনচেঙ্কো। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, তাদের সঙ্গে যা হচ্ছে, তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে অন্য দেশেও।
“আমাদের এটা (যুদ্ধ) বন্ধ করতে হবে। আজ ইউক্রেইনে, কাল আপনার দেশেও হতে পারে। কী ঘটছে, তা বর্ণনা করা অসম্ভব। মেনে নেওয়া যায় না, তাই আমাদের এটা বন্ধ করতে হবে।”
“আমাদের জিততে হবে। ইউক্রেইন একটি স্বাধীন দেশ। ইউক্রেইনের সবাই চায় যুদ্ধ বন্ধ হোক, এটাই আমাদের একমাত্র স্বপ্ন।”
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেইনের অনেক ফুটবলাররা দেশে ফিরে গেছেন। তবে সেটা করেননি জিনচেঙ্কো। তার মতে, সিটিতে থেকে দেশে প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য পাঠানোটাই বেশি প্রয়োজন।
পাশাপাশি মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান জিনচেঙ্কো। বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার প্রত্যয় ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কন্ঠে।
“আমরা (বিশ্বকাপে) খেলার যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করব। আমরা আমাদের দেশের মানুষদের খুশি করার চেষ্টা করব। আমাদের প্রেরণা শতভাগের বেশি।”
ইউক্রেইন ও স্কটল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল প্লে-অফের ফাইনালে খেলবে ওয়েলসের বিপক্ষ। রোববারের ওই লড়াইয়ে জয়ী দল কাতার বিশ্বকাপে খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। গ্রুপের অন্য তিন দল ইংল্যান্ড, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র।